কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে তিন স্কুলছাত্রীসহ চারজনের মৃত্যু
- কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৬ মে ২০২৫, ০৩:২১ PM , আপডেট: ২১ জুন ২০২৫, ০২:১৫ PM
কিশোরগঞ্জে পৃথক স্থানে বজ্রপাতে তিন স্কুলছাত্রীসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুরে উপজেলার চরটেকী ও মিঠামইন উপজেলার চমকপুর এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো উপজেলার চরটেকী গ্রামের জালাল উদ্দিনের মেয়ে ইরিনা (১৫), একই গ্রামের বাদল মিয়ার মেয়ে প্রিয়া (১৫) ও একই গ্রামের বোরহান উদ্দিনের মেয়ে বর্ষা৷ তারা তিনজনই চরটেকী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
জানা গেছে, দুপুরে ঝড়সহ বৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় স্কুলে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য যাওয়ার পথে ঝড়বৃষ্টির কবলে পড়ে ওই দুই শিক্ষার্থীসহ আরও একজন। এ সময় ঝড়ের সঙ্গে বজ্রপাত হলে গুরুতর আহত হন তারা। পরে তাদের উদ্ধার করে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে ইরিনা ও প্রিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় বর্ষারও মৃত্যু হয়৷
আরও পড়ুন: ববি শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে বেরিয়ে গেলেন উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ, কার্যালয়ে তালা
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক কামরুল হাসান বলেন, তিনজনের মধ্যে দুজন মারা গেছেন। আহত বর্ষা নামের একজনকে শহিদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় বর্ষারও মৃত্যু হয়৷
পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. বিল্লাল হোসেন তিন ছাত্রীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার খবর পেয়ে তিনি হাসপাতালে যান। হাসপাতালে ইরিনা ও প্রিয়া এই দুজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এ ছাড়া গুরুতর আহত বর্ষাকে কিশোরগঞ্জে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাফন-কাফনের জন্য আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষক-কর্মকর্তাদের কঠোর নির্দেশনা দিল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
এদিকে একই সময় জেলার হাওর উপজেলা মিঠামইনের ঘাগড়া ইউনিয়নের চমকপুর মাঠে গরু আনতে গিয়ে কটু মিয়া (৪০) নামের এক কৃষক বজ্রপাতে মারা গেছেন। তিনি চমকপুর গ্রামের মৃত আবদুল মোতালিবের ছেলে।
প্রতিবেশী শহিদুজ্জামান শুভ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কৃষক কটু মিয়া দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাড়ির পাশে হাওরে যান। এ সময় হঠাৎ বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই কটু মিয়া মারা যান।