‘স্যার’ মানে প্রভু নাকি চাকর— বাংলাদেশে স্যার-ম্যাডাম কীভাবে এলো?
বাংলাদেশের সরকারের প্রশাসনিক কাঠামোতে ও শিক্ষাঙ্গনে 'স্যার' ও 'ম্যাডাম' সম্বোধন এখন সামাজিক স্বীকৃতির সীমা ছাড়িয়ে ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। লেখক ও গবেষক মুনতাসীর মামুন তার বই 'ঔপনিবেশিকোত্তর ঔপনিবেশিক মন' বইয়ে এমনই উল্লেখ করেছেন। স্যার, আপনি কি এখন ক্লাসে যাবেন?' ‘ম্যাডাম, আমি কি ভেতরে আসতে পারি?’
বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে অফিস-আদালত সবখানেই প্রতিদিন হাজারোবার উচ্চারিত হয় এই শব্দ দুটি: স্যার এবং ম্যাডাম। বাংলাদেশের সরকারি অফিসগুলোয় ১৬তম গ্রেডের (সাবেক চতুর্থ শ্রেণির) উপরে যেকোনো সরকারি কর্মচারিদের স্যার বা ম্যাডাম বলা এখন একটি সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। কিন্তু আপনি কি জানেন, আজ থেকে ৩৫ বছর আগে ১৯৯০ সালেই বাংলাদেশে সরকারি চাকরিজীবীদের স্যার বা ম্যাডাম হিসেবে সম্বোধন করা বাতিল হয়েছিল? কিন্তু কবে থেকে এই ডাক বাংলার সমাজে এমন গভীরভাবে প্রোথিত হলো? এই সম্বোধন কি কেবল শ্রদ্ধাবোধের প্রকাশ, নাকি এক ধরনের উপনিবেশিক উত্তরাধিকার?
- country-others
- ১৫ জুলাই ২০২৫ ১০:৪৩