ফাইনাল পরীক্ষা না দিয়েও পাস, সাংবাদিকদের অনুসন্ধান টের পেয়ে ফল সংশোধন 

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়  © সংগৃহীত

রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) কৃষি অনুষদের পরীক্ষায় অনিন্দ্য বিশ্বাস অর্ঘ্য নামে এক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ না করার পরও তাকে পাস করানোর অভিযোগ উঠেছে প্রশাসনের বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে সাংবাদিকদের অনুসন্ধানে সত্য ঘটনা উঠে এলে গত ২৫ জুন ফল সংশোধন করে তাকে অকৃতকার্য দেখানো হয়।

জানা গেছে, প্যাথলজি বিভাগ ছাড়াও এমন ঘটনা ঘটেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে। লেভেল-২, সেমিস্টার-১-এর শিক্ষার্থী গোলাম সরোয়ার কায়নাত ফাইনাল টাইফয়েডে আক্রান্ত থাকার কারণে বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করলেও তাকে কৃতকার্য দেখানো হয়। তবে ফলাফল প্রকাশিত হলে তিনি প্রশাসন বরাবর যোগাযোগ করে ভুল ধরিয়ে দেন এবং পরবর্তীতে ফলাফল পরিবর্তন করা হয়। 

শিক্ষার্থী অনিন্দ্য বিশ্বাস অর্ঘ্যের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের প্রধান চৌধুরী মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ফলাফলে ডিপার্টমেন্টের একটা ভুল ছিল। বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হলে উপাচার্য স্যার এবং বিভাগের জরুরি মিটিংয়ের সিদ্ধান্তের আলোকে আমাদের নিকট সংশোধনীর মূল্যায়নের কাগজ পাঠানো হয়। তার প্রেক্ষিতে ফলাফল সংশোধন করে উপাচার্য স্যারের অনুমোদন নিয়ে এটি পুনরায় সংশোধিত রেজাল্ট আকারে প্রকাশ করা হয়।

প্যাথলজি বিভাগের শিক্ষক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. বেলাল হোসেন বলেন, এটা একটা অনিচ্ছাকৃত ভুল ছিল। দুইজনের রেজিস্ট্রেশন নম্বরের শেষের পাঁচটি ডিজিট একই হওয়ায় ভুলটি হয়। 

একটি কোর্সের দুইটি পার্ট একইসাথে ভুল হতে পারে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এই কোর্সের ছয়জন টিচার। আমি আমার পার্ট দেখে পরবর্তী শিক্ষকের কাছে পাঠিয়েছি। খাতা দেখা নিয়ে কোনো গরমিল হয়নি।  দুই জনের রেজিস্ট্রেশন নম্বরে মিল রয়েছে বিদায় আমাদের অনিচ্ছাকৃত ভুলটি হয়েছে। পরীক্ষার ঝামেলা এড়াতে পাশ করিয়ে দেওয়া হয়েছে কিনা  জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আসলে এমন না।  

কৃষি অনুষদের লেভেল-২ এর শিক্ষার্থী অনিন্দ্য বিশ্বাস অর্ঘ্য বলেন, আমাদের ব্যাচে পুনঃভর্তি হওয়া এক সিনিয়র ভাইয়ের সাথে আমার রেজিস্ট্রেশন নম্বরের মিল থাকায় এ ধরনের সমস্যা হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!