বিএনপির ইফতার বিতরণ অনুষ্ঠানে শেকৃবি ভিসি, সমালোচনা

ইফতার বিতরণ অনুষ্ঠানে শেকৃবি ভিসি
ইফতার বিতরণ অনুষ্ঠানে শেকৃবি ভিসি  © সংগৃহীত

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আয়োজিত ইফতার বিতরণী অনুষ্ঠানে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) প্রশাসনের উপস্থিতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় তুলেছে। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের পাশে ইফতার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শেকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল লতিফ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. বেলাল হোসেন ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আবুল বাসার। 

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, সরকারি কর্মকর্তা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই অনুষ্ঠানে যোগদানকে অনেকেই নিয়মবহির্ভূত ও পেশাদারিত্ববিরোধী বলে মনে করছেন।

এদিকে, শিক্ষার্থী ও শিক্ষক সমাজের একাংশ এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অনেকেই মনে করছেন, উপাচার্যের এমন আচরণ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন ও নিরপেক্ষতাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান হিসেবে ভিসির নিরপেক্ষতা বজায় রাখা উচিত ছিল।

শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন তুলছেন, একজন উপাচার্য যদি রাজনৈতিক প্রোগ্রামে অংশ নেন, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্ব কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? এই ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তীব্র সমালোচনা হচ্ছে। নেটিজেনরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সর্বোচ্চ পদে বসে এমন আচরণ শুধু ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের ব্যর্থতা নয়, এটি পুরো শিক্ষাব্যবস্থার জন্য একটি কালো দাগ।

এ বিষয়ে শেকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল লতিফ বলেন, ‘এটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারীদের একটি প্রোগ্রাম ছিল যেখানে দোস্তদের মধ্যে ইফতার বিতরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‌‌তারা আমাকে ডেকেছিল, তাই আমি গিয়েছি। এটা বিএনপির কোনো প্রোগ্রাম ছিল না। তারা বিএনপি ও করে না।’

তবে ব্যানারে দেখা যায়, এটি ছিল ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আয়োজিত প্রোগ্রাম।


সর্বশেষ সংবাদ