খুকৃবির নিয়োগ বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্মূল্যায়নে কমিটি করছে মন্ত্রণালয়

খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুকৃবি) সাবেক উপাচার্য শহীদুর রহমান খানের স্বজনদের নিয়োগ ও ৭৩ শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের সিদ্ধান্তের বিষয়টি পুনর্মূল্যায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ জন্য কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বুধবার শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানা, দীর্ঘদিন পর সিদ্ধান্ত ও ইউজিসির তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়বস্তুসহ বিষয়টি পুনর্মূল্যায়ন করার জন্য নতুন কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রণালয়। তবে কমিটির সদস্যদের নাম বলেননি তারা। তবে এক বা একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা কমিটিতে থাকছেন বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, ২০১৫ সালে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস হয়। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে উপাচার্য হিসেবে শহীদুর রহমানকে নিয়োগের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রম শুরু হয়। অভিযোগ ওঠে, নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। উপাচার্যের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে ২০২০ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টির সিন্ডিকেটের পাঁচ সদস্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছিলেন।

পরে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। গত বছরের জানুয়ারিতে তদন্ত প্রতিবেদনে উপাচার্যের আত্মীয়স্বজনের নিয়োগের তথ্য উঠে আসে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, উপাচার্য শহীদুর রহমান অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতি করে ছেলে, মেয়ে, শ্যালক-শ্যালিকার ছেলে, ভাতিজাসহ ৯ স্বজনকে নিয়োগ দিয়েছেন। তাঁর স্ত্রীকেও বিশ্ববিদ্যালয়টিতে অধ্যাপক পদে নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করেন। ইউজিসির তদন্তে এসব প্রমাণিত হওয়ায় ৯ স্বজনের নিয়োগ বাতিল করতে বলেছিল মন্ত্রণালয়।

উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হওয়ার প্রাক্কালে গত বছরের আগস্টে এ নির্দেশ দিলেও মানেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ‘বিষয় বিশেষজ্ঞ’ ছাড়া একই ব্যক্তিদের দিয়ে বাছাই বোর্ড গঠন করে ২০ বিষয়ে নিয়োগ দেওয়া ৭৩ জন শিক্ষকের নিয়োগও বাতিলের ব্যবস্থা করতে বলেছিল মন্ত্রণালয়। প্রায় সব শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার শিক্ষকদের মধ্যে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। তবে দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে আরও কয়েকটি ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছিল। এর মধ্যে ছিল কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের নীতিমালাটি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা অনুসরণ করে যুগোপযোগী করা, স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে নিয়োগ, ‘বিষয় বিশেষজ্ঞ’ ছাড়া বাছাই বোর্ড গঠন না করাসহ ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়, এমন কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকা প্রভৃতি।


সর্বশেষ সংবাদ