জাবি ভর্তিতে উপাচার্য কোটা নিয়ে যা জানা গেল

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়  © সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের (স্নাতক) সম্মান প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি কোটায় বাতিল হওয়ায় ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে উপাচার্য কোটায় নির্ধারিত ২০টি আসন নিয়ে। 

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময়ে অসম ভর্তি কোটা বাতিলের জন্য আন্দোলন ও বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে। ফলে গত ৫ ডিসেম্বর ভর্তি কমিটির সভায় মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনির কোটা বাতিল করা হয়। 

অন্যদিকে ভিসি কোটায় নির্ধারিত ২০টি আসন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতি-নাতনির জন্য নির্দিষ্ট ছিল। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নাতি-নাতনি কোটা বাতিলের পাশাপাশি উপাচার্য কোটার নির্ধারিত ২০ আসনেও তাদের (মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি ও সন্তান) কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে উপাচার্য কোটা এখনো বাতিলের হয়নি।

আরও পড়ুন: ঢাবিতে পোষ্য কোটায় বছরে ২৬ শিক্ষার্থী ভর্তি

এ বিষয়ে ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) সৈয়দ মোহাম্মদ আলী রেজা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এর আগের মিটিংয়ে ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনী কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু এতোদিন উপাচার্য কোটার ২০টি আসন নির্ধারিত ছিল মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতি-নাতনির জন্য। এখন মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনির কোটায় ভর্তির সুযোগ না থাকায়, তাঁরা আর উপাচার্য কোটায় হতে পারবে না।

তিনি আরও বলেন, এখন উপাচার্য কোটার ২০টি আসন বাতিল হবে কিনা বা অন্য নামে থাকবে কিনা সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আগামী মিটিংয়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। তবে এখন পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষায় উপাচার্য কোটা বহাল আছে।

উল্লেখ্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা সম্ভাব্য ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে এবং ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১০টি ইউনিটে অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি পরীক্ষার অনলাইন আবেদন ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। 


সর্বশেষ সংবাদ