মেডিকেলে ভর্তি: ৩ দিনে যত আবেদন হলো

ভর্তি পরীক্ষার্থী
ভর্তি পরীক্ষার্থী  © ফাইল ফটো

২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি আবেদন শুরু হয়েছে। আবেদন শুরুর তিনদিনের মধ্যে আবেদনের সংখ্যা এক লাখ ২০ হাজার ছাড়িয়েছে।

জানা গেছে, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা থেকে চলতি বছরের মেডিকেল ভর্তি আবেদন শুরু হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১ লাখ ২০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য আবেদন করেছেন। তবে টাকা জমা দিয়েছেন এক লাখ ১৯ হাজার ৮৭৯ জন।

বিষয়টি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. এ কে এম আহসান হাবীব। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১ লাখ ১৯ হাজার ৮৭৯ জন ভর্তি আবেদনের টাকা জমা দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: মেডিকেলে ভর্তি: ৫০ ঘণ্টায় লাখ ছাড়াল আবেদন

এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, আগামী ১০ মার্চ রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। আবেদন ফি এক হাজার টাকা। ১১ মার্চ রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত টেলিটকের মাধ্যমে আবেদন ফি জমা দেওয়া যাবে।

২৬ মার্চ থেকে ২৯ মার্চ পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড করা যাবে। আর ১ এপ্রিল সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত সারাদেশে একযোগে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশি নাগরিক যারা বিদেশি শিক্ষা কার্যক্রম থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন তাদের সার্টিফিকেট সমতাকরণ করতে হবে। এজন্য দুই হাজার টাকা জমা দিয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন) বরাবর আবেদন করতে হবে।

পূর্ববর্তী বছরের ন্যায় এইচএসসি পাস প্রার্থীদের ক্ষেত্রে মোট নম্বর থেকে ৫ নম্বর এবং পূর্ববর্তী বছরের সরকারি মেডিকেল, ডেন্টাল কলেজ ডেন্টাল ইউনিটে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে মোট নম্বর থেকে ৭ দশমিক ৫ নম্বর কেটে মেধাতালিকা তৈরি করা হবে।

আরও পড়ুন: ২৭৬৫ আসনের বিপরীতে ডাকা হয়েছে ১৮ হাজার, তবুও আসন ফাঁকা 

যারা ২০২০ বা ২০২১ সালে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় (পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞানসহ) উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাঁরা ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ মোট ২০০ নম্বর হিসাবে নির্ধারণ করে মূল্যায়ন করা হবে। এক্ষেত্রে এসএসসিতে প্রাপ্ত জিপিএ এর জন্য ৭৫ নম্বর এবং এইচএসসিতে প্রাপ্ত জিপিএর জন্য ১২৫ নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। মোট ৩০০ নম্বরের ভিত্তিতে মেধাতালিকা প্রণয়ন করা হবে।

ভর্তি পরীক্ষা ১০০ নম্বরে অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষায় ১০০টি এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। প্রতিটির প্রশ্নের মান ১। এমসিকিউ পরীক্ষা হবে ১ ঘণ্টায়। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় পদার্থবিদ্যায় ২০, রসায়নে ২৫, জীববিজ্ঞানে ৩০, ইংরেজিতে ১৫ এবং সাধারণ জ্ঞান, ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক ১০ নম্বরের (মোট ১০০) প্রশ্ন থাকবে।

এমসিকিউ পরীক্ষায় প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য শূন্য দশমিক ২৫ নম্বর কাটা যাবে। লিখিত পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে ন্যূনতম ৪০ নম্বর পেতে হবে। এর কম পেলে অকৃতকার্য বলে বিবেচিত হবে। কেবল কৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের মেধাতালিকাসহ ফলাফল প্রকাশ করা হবে।


সর্বশেষ সংবাদ