এক ইউনিটে প্রথম, দুই ইউনিটে ফেল জান্নাতের ভর্তি স্থগিত

মিশকাতুল জান্নাত
মিশকাতুল জান্নাত  © ফাইল ফটো

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) ২০১৯-২০ সেশনের ভর্তি পরীক্ষায় মিশকাতুল জান্নাতের ভর্তি স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক ইমরানা বারীর ছোটবোন মিশকাতুল জান্নাত দুই ইউনিটে ফেল করলেও ‘বি’ ইউনিটে রেকর্ড পরিমাণ নাম্বার নিয়ে প্রথম স্থান অধিকার করলে বিষয়টি নিয়ে সমালোচানার মুখে গতকাল শুক্রবার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্বাবদ্যালয় প্রশাসন।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হেনা মোস্তাফা কামাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, সংবাদমাধ্যম ও বিভিন্ন অভিযোগের সূত্রে বিষয়টি আমাদের দৃষ্টিতে আসে। এজন্য বিষয়টি সম্পর্কে সঠিক তথ্য উদ্ধারের জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অভিযুক্ত মিশকাতুল জান্নাতের ভর্তি ফলাফল স্থগিত করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানা যায়, মিশকাতুল জান্নাত ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় এ, বি এবং এফ ইউনিটে অংশ নেন। গত ১৯ নভেম্বর সকল ইউনিটের ফল প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষ। ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় তৃতীয় শিফটে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে (রোল-১৪১৭৫২) অকৃতকার্য হন মিশকাত।

একইভাবে ‘এফ’ ইউনিটেও চতুর্থ শিফটে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে (রোল-৬৪১৭৫১) অকৃতকার্য হন তিনি। অথচ ‘বি’ ইউনিটের (সামাজিক বিজ্ঞান) মানবিক থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মিশকাতুল জান্নাত এমসিকিউয়ে ৮০ এর মধ্যে ৬৭.২৫০ পেয়েছেন। যা অন্য কোন ইউনিটে আর কেউ পায়নি। তার ‘বি’ ইউনিটে পরীক্ষার রোল ২৪০২৭৮।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, ‘এ’ ইউনিটে প্রথম শিফটে প্রথম স্থান অধিকারী নিলয় ঘোষ ‘বি’ ইউনিটেও প্রথম শিফটে প্রথম স্থান অধিকার করেন। একইভাবে ‘ডি’ ইউনিটে প্রথম স্থান অধিকারকারী জিহাদ রহমান ‘ই’ ইউনিটেও ৫ম স্থান অধিকার করেন। আবার ‘এ ইউনিটে (সাইন্স) প্রথম স্থান অধিকারকারী শানজিদা আলম করবী ‘বি’ ৭৪ স্থান অধিকার করেছেন।

এরকমভাবে প্রত্যেকটি ইউনিটের ১ম থেকে ৫ম স্থান অধিকারীগণ অপর যেকোনো ইউনিটে মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছেন।

কিন্তু মিশকাত জান্নাত ‘বি’ ইউনিটে প্রথম হলেও অপর দুইটি ইউনিটে ফেল করেন। তাঁর বড় বোন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের প্রভাষক। নিজের ছোটবোন ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলেও ইংরেজী বিভাগের প্রভাষক ইমরানা বারী ভর্তি পরীক্ষার যাবতীয় কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন। বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হলে গতকাল শুক্রবার এ নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্বাবদ্যালয় প্রশাসন।


সর্বশেষ সংবাদ