ঢাবিতে ভর্তি: কোটায় বিষয় বরাদ্দ কবে?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা  © ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথমবর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য অধিকাংশ আসন পূরণ হয়েছে। আগামী ৩ জুন কোটায় বিষয় বরাদ্দপ্রাপ্তরা তাদের বরাদ্দকৃত বিষয় দেখতে পাবেন। এদিকে কলা অনুষদের তিনটি বিষয়ের কয়েকটি আসন এখনও শূন্য রয়েছে। পঞ্চম ধাপে বিষয় বরাদ্দের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিবিষয়ক ওয়েবসাইটে অনলাইন ভর্তি কমিটির এক বিশেষ নির্দেশনায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, চতুর্থবার (২৭ মে সম্পন্ন করা) বিষয় বরাদ্দের পর বরাদ্দপ্রাপ্ত কোনো প্রার্থী  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে অনাগ্রহী হলে তাকে আগামী ২ জুনের মধ্যে তার বরাদ্দ বাতিল করে জমাকৃত ট্রান্সক্রিপ্ট সংশ্লিষ্ট ইউনিট অফিস হতে ফেরত নিতে পারবে।

২ জুনের পর বরাদ্দপ্রাপ্ত সকল প্রার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় পাওনাদি পরিশোধ করে বরাদ্দকৃত বিষয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। ভর্তির পর একজন শিক্ষার্থী নিজ ইচ্ছায় ভর্তি বাতিল করতে চাইলে ভর্তি বাতিলের পর ট্রান্সক্রিপ্ট ফেরত নিতে পারবে।

চূড়ান্ত (৫ম ধাপ) বরাদ্দ সম্পন্ন করার মাধ্যমে সব আসন পূর্ণ করে  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিষয় বরাদ্দের কাজ শেষ হবে এবং ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে। এরপর নতুন করে আর বিষয় বরাদ্দের মাধ্যমে ভর্তির সুযোগ নেই। আগামী ১ জুলাই সব বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে ক্লাস শুরু হবে।

২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ভর্তির চতুর্থ ধাপের বিষয় বরাদ্দ প্রকাশ করা হয়েছে। পরবর্তী একটি ধাপে (৪ জুন) বিষয় বরাদ্দ চূড়ান্ত করা হবে। কোটায় বিষয় বরাদ্দপ্রাপ্তরা আগামী ৩ জুন রাতে তাদের বরাদ্দকৃত বিষয় দেখতে পাবে। এ ধাপে (বা পরবর্তীতে চূড়ান্ত ধাপে) নতুন কেউ একটি বিষয়ের বরাদ্দ পেলে (কোটার জন্য আবেদন করা হলেও) শিক্ষার্থীকে চূড়ান্ত ধাপের বিষয় বরাদ্দ/ভর্তি প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে নিচের দু'টি কাজ অবশ্যই করতে হবে-

ক) বরাদ্দকৃত বিষয়ের জন্য প্রযোজ্য ভর্তি ও অন্যান্য ফি’র একটি অংশ নিম্নলিখিত হারে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অনলাইনে জমা দিয়ে তার রসিদ সংগ্রহ করতে হবে। উল্লেখ্য যে, এ অগ্রিম টাকা চূড়ান্ত বরাদ্দের পর ভর্তির সময়ে ভর্তি ও অন্যান্য ফি জমাদানের সময় সমন্বয় করা হবে।

অ. চূড়ান্তভাবে শিক্ষার্থীর বিষয় বরাদ্দপ্রাপ্ত হলে (পছন্দক্রমের প্রথম বিষয় পেলে অথবা অটোমাইগ্রেশন বন্ধ করা হলে) ৫০০ টাকা, আ. চূড়ান্ত বরাদ্দে পছন্দক্রম অনুযায়ী সামনের জন্য বিষয়ের জন্য অপেক্ষমাণ থাকতে ১০০ টাকা দিতে হবে।

আরো পড়ুন: ঢাবিতে পঞ্চম ধাপের বরাদ্দে শেষ হচ্ছে ভর্তি, আসন খালি কোন বিভাগে

খ) আগাম পরিশোধের রসিদ ও উচ্চমাধ্যমিক/সমমান এবং মাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষার মূল গ্রেডশিট/মার্কশিটসহ সংশ্লিষ্ট ইউনিটের নোটিশে উল্লিখিত নির্ধারিত তারিখে সাক্ষাৎকারে অংশগ্রহণ করে সেগুলো জমা দিতে হবে।

১ জুন বিকেল ৩টার মধ্যে চতুর্থ ধাপে বিষয় বরাদ্দপ্রাপ্তদের আগাম টাকা জমা দিতে হবে। ওপরের দু'টি কাজের যে কোনটি সম্পন্ন না করা হলে শিক্ষার্থী  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে আগ্রহী নয় বলে গণ্য হবে এবং তার মনোনীত বিষয় প্রত্যাহার করে বিষয়ের আসনটি অন্য শিক্ষার্থীকে পরবর্তী মনোনয়নে বরাদ্দ করা হবে। পরবর্তী কোনও ধাপের বিষয় মনোনয়নে সে আর বিবেচিত হবে না। 

যারা প্রথম মনোনয়নে অটোমাইগ্রেশন বহালের জন্য টাকা জমা করেছে তারা অটোমাইগ্রেশনের জন্য পুনরায় টাকা জমা করতে হবে না। যদি তারা মাইগ্রেশন বন্ধ করতে চায় তবে তারা মাইগ্রেশন বন্ধ নিশ্চিত করার জন্য টাকা জমা করবে। শিক্ষার্থীদের সাক্ষাৎকারের সময়সূচী সংশ্লিষ্ট ভর্তির ইউনিট অনলাইনে প্রকাশ করবে।


সর্বশেষ সংবাদ