বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও ৪৯তম বিসিএস, জেনে নিন সুমুদ ফ্লোটিলা নিয়ে কিছু প্রশ্নোত্তর
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৫৪ PM , আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:১৬ PM
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও ৪৯তম বিশেষ বিসিএসের ডামাডোল চলছে। আগামী ১০ অক্টোবর প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা হবে নভেম্বরের শেষ কিংবা ডিসেম্বর থেকে। উভয় পরীক্ষাতেই গুরুত্বপূর্ণ সাধারণ জ্ঞান; যাতে এই মুহূর্তে এগিয়ে আছে গাজা ইস্যু। আরও বিশেষভাবে বললে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা। যেখানে বাংলাদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছেন শহীদুল আলম। উভয় পরীক্ষার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে পরীক্ষার্থীদের সহায়তার জন্য বিষয়ভিত্তিক মডেল টেস্টের আয়োজন করেছে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস। ধারাবাহিক এ আয়োজনের আজ গাজামুখী এই অভিযান নিয়ে কিছু প্রশ্নোত্তর তুলে ধরা হলো:
* গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা কী?
উত্তর: আন্তর্জাতিক নৌবহর, যা বিভিন্ন দেশ থেকে অংশগ্রহণকারী স্বেচ্ছাসেবক, মানবাধিকারকর্মী এবং পরিবেশকর্মী নিয়ে গঠিত।
* সুমুদ ফ্লোটিলার উদ্দেশ্য কী?
উত্তর: গাজায় মানবিক ত্রান সহায়তা দেয়া।
* 'ফ্লোটিলা' শব্দটি কোন ভাষা থেকে আগত ?
উত্তর: স্প্যানিশ ভাষা।
* 'ফ্লোটিলা' শব্দের অর্থ কি?
উত্তর: জাহাজের ছোট বহর।
* গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার বহরে নেতৃত্ব দেন কে?
উত্তর: গ্রেট থুনবার্গ।
* সুমুদ ফ্লোটিলায় কতটি দেশের জাহাজ রয়েছে?
উত্তর: ৪৪ টি দেশ।
* সুমুদ ফ্লোটিলায় কতটি জাহাজ রয়েছে?
উত্তর: ৫০ টি জাহাজ।
* সুমুদ ফ্লোটিলায় মোট কতজন অংশ নিয়েছেন?
উত্তর: ৪১৭ জন।
* সুমুদ ফ্লোটিলা কবে এবং কোন দেশ থেকে গাজার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে?
উত্তর: ৩১ আগস্ট,২০২৫। স্পেনের বার্সেলোনা থেকে।
* ফ্রোটিলা জাহাজে একমাত্র বাংলাদেশীর নাম কি?
উত্তর: আলোকচিত্রী শহীদুল আলম।
অংশগ্রহণকারী দেশ :
তুরস্ক: ৫৬, স্পেন: ৪৯, ইতালি: ৪৮, ফ্রান্স: ৩৩, তিউনিসিয়া: ২৮, মালয়েশিয়া: ২৭, গ্রীস: ২৬, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: ২২, জার্মানি: ১৯, আলজেরিয়া: ১৭, আয়ারল্যান্ড: ১৬, যুক্তরাজ্য: ১৫, ব্রাজিল: ১৪
একক অংশগ্রহণকারী দেশ (একজন):
জাপান, ইন্দোনেশিয়া, স্লোভাকিয়া, লিথুয়ানিয়া, বুলগেরিয়া, ক্রোয়েশিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র, লুক্সেমবার্গ, অস্ট্রেলিয়া, আয়ারল্যান্ড, মৌরিতানিয়া, ওমানের সালতানাত, মালদ্বীপ, বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন : ঢাবি ভর্তি পরীক্ষা: সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ, চূড়ান্ত হবে আগামী সপ্তাহে
এই উদ্যোগটি ২০২৫ সালের জুলাই মাসে ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন, গ্লোবাল মুভমেন্ট টু গাজা, মাগরেব সুমুদ ফ্লোটিলা এবং সুমুদ নুসান্তারার যৌথ আয়োজনে গাজা যুদ্ধের সময় শুরু হয়। এর লক্ষ্য ছিল ইসরায়েলি অবরোধ ভেঙে মানবিক সাহায্য পৌঁছে দেওয়া। এটি ইতিহাসে সবচেয়ে বড় নাগরিক-নেতৃত্বাধীন নৌবহর হিসেবে বিবেচিত।
ফ্লোটিলা ২০২৫ সালের আগস্টের শেষ দিকে ওত্রান্তো, জেনোয়া ও বার্সেলোনা থেকে যাত্রা শুরু করে। এই উদ্যোগকে সমর্থন জানিয়েছেন এক ডজনেরও বেশি পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ, ইতালির রাজনীতিবিদ ও রাজনৈতিক দল, স্পেন ও পর্তুগালের সংসদ সদস্যরা, কলম্বিয়ার রাষ্ট্রপতি গুস্তাভো পেত্রো, এবং অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক ফ্রানচেসকা আলবানেসে। এর বিপরীতে, ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির দাবি করেন, অংশগ্রহণকারীদের সন্ত্রাসী হিসেবে কারারুদ্ধ করা উচিত এবং ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফ্লোটিলা থামানোর অঙ্গীকার করে।
এই নৌবহরটি ২০২৫ সালের আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে যাত্রা শুরু করে। জেনোয়া থেকে ৩০ আগস্ট, বার্সেলোনা থেকে ৩১ আগস্ট এবং তিউনিস ও কাতানিয়া থেকে ৭ সেপ্টেম্বর (প্রথমে নির্ধারিত ছিল ৪ সেপ্টেম্বর) কনভয় রওনা হয়। তাদের পৌঁছানোর সময় অনুমান করা হয়েছিল সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যভাগে।