দাখিল পরীক্ষায় নকলের দায়ে শিক্ষার্থী বহিষ্কার, দপ্তরির ১০ দিন কারাদণ্ড

পুটিবিলা ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা
পুটিবিলা ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা  © টিডিসি ফটো

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলাতে চলমান দাখিল পরীক্ষায় নকলের দায়ে এক পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই ঘটনায় পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নকলের সহায়তার অভিযোগে মাদরাসার দপ্তরিকে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং কেন্দ্রের ৩ নম্বর কক্ষের সব শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। 

রবিবার (২৭ এপ্রিল) মহেশখালী উপজেলার পুটিবিলা ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে দাখিল ইংরেজি প্রথম পত্র পরীক্ষা চলাকালীন এ ঘটনা ঘটে। নকল সরবরাহের অভিযোগের ভিত্তিতে মহেশখালীর ইউএনও মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ কেন্দ্রে প্রবেশ করে নকল সরবরাহের প্রমাণ পাওয়ায় এ ব্যবস্থা নেন। 

বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী উপজেলার হোয়ানক রশিদিয়া দাখিল মাদরাসার শিক্ষার্থী এবং অভিযুক্ত দপ্তরি উপজেলার পুটিবিলা মাদ্রাসায় কর্মরত। 

জানা যায়, অভিযুক্ত দপ্তরি আকতার হোসেন পরীক্ষা চলাকালে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে পরীক্ষার্থীদের নকলের সহযোগিতা করছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। পরিস্থিতি নজরে আসার পর দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনও হেদায়েত উল্যাহ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে দপ্তরিকে আটক করেন।

এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। একইসঙ্গে নকলের সাথে জড়িত থাকায় এক পরীক্ষার্থীকে কেন্দ্র থেকে বহিষ্কার করা হয়।

আরো পড়ুন: জুলাই বিপ্লবে আহত আনোয়ার সুলতানের ওপর দুর্বৃত্তদের হামলা

ইউএনও মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ বলেন, ‘পরীক্ষার স্বচ্ছতা রক্ষায় আমরা কঠোর অবস্থানে রয়েছি। তারই ধারাবাহিকতায় পুটিবিলা ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে একজন শিক্ষার্থী এবং অভিযুক্ত দপ্তরিকে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। পরবর্তীতেও নকল বা যেকোনো অনিয়মের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও তদারকি আরও জোরদার করা হয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে, নকল প্রতিরোধে চলমান অভিযান আরও জোরালোভাবে পরিচালিত হবে।


সর্বশেষ সংবাদ