পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধে ৫ হাজার কোটি রুপি ক্ষতির মুখে এয়ার ইন্ডিয়া
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ০২ মে ২০২৫, ১২:১৬ PM , আপডেট: ২২ জুন ২০২৫, ০৪:৫৬ PM
পলেহগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। দুই দেশই একে অপরের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক পদক্ষেপ নিচ্ছে। যার অন্যতম হলো আকাশসীমা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা।
ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলোর জন্য পাকিস্তান তাদের আকাশপথ বন্ধ করায় বিপুল ক্ষতির আশঙ্কা করেছে এয়ার ইন্ডিয়া। আগামী এক বছর পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ থাকলে ক্ষতির অঙ্ক ৬০ কোটি ডলার (প্রায় ৫ হাজার ৫১ কোটি রুপি) ছুঁতে পারে বলে এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষের প্রাথমিক হিসাব।
এর আগে সংবাদ সংস্থা পিটিআই ইঙ্গিত দিয়েছিল, পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ থাকার কারণে উত্তর ভারতের শহরগুলো থেকে ওড়া আন্তর্জাতিক বিমানের জন্য ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলোর সাপ্তাহিক খরচ প্রায় ৭৭ কোটি রুপি বাড়তে পারে। মাসের হিসাবে প্রায় ৩০৬ কোটি রুপি ব্যয় বাড়ার সম্ভাবনা।
গত ২২ জুলাই পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের সময় সৌদি আরবে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২৩ জুলাই তিনি নিজের বাসভবনে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন। তারপর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পাঁচটি পদক্ষেপ ঘোষণা করে ভারত। জবাবে ২৪ জুলাই ভারতের বিরুদ্ধে আকাশসীমা বন্ধসহ আট দফা পদক্ষেপ নিয়েছিল পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সরকার। পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ হওয়ার আগে উত্তর আমেরিকামুখী ফ্লাইটগুলোয় সাধারণভাবে ১৬ ঘণ্টা সময় লাগতো। কিন্তু বিকল্প পথে যাতায়াতে আরও দেড় ঘণ্টা বেশি সময় লাগবে। এ অতিরিক্ত দেড় ঘণ্টা সময়ের জন্য প্রায় ২৯ লাখ রুপি খরচ হবে।
আরও পড়ুন: ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে ববি শিক্ষার্থী জেবুন্নেছা
একইভাবে ইউরোপ যাওয়ার যে বিমানে আগে ৯ ঘণ্টা সময় লাগতো, সেখানেও প্রায় দেড় ঘণ্টা অতিরিক্ত সময় লাগবে। এর জন্য প্রায় সাড়ে ২২ লাখ রুপি বেশি খরচ হবে ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলোর।
পিটিআইয়ের প্রতিবেদন জানাচ্ছে, পাকিস্তানের আকাশসীমা এড়িয়ে পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলোয় যাতায়াতের বিমানে প্রায় ৪৫ মিনিট বেশি সময় লাগবে। এর জন্য অতিরিক্ত খরচ হবে প্রায় পাঁচ লাখ রুপি। ওই প্রতিবেদনে দাবি, উত্তর ভারতের শহরগুলো থেকে প্রতি সপ্তাহে আট শতাধিক ফ্লাইট উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ, পশ্চিম এশিয়াসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গন্তব্যে যাতায়াত করে। মাসের হিসাবে উড়োজাহাজের সংখ্যা তিন হাজারের বেশি। এর মধ্যে প্রায় অর্ধেকেরও বেশি পশ্চিম এশিয়ার বিভিন্ন দেশে যাতায়াত করে।