কেন পড়বেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে?
- রায়হান ইসলাম, রাবি
- প্রকাশ: ২০ জুলাই ২০২২, ০৯:২২ PM , আপডেট: ২০ জুলাই ২০২২, ০৯:৩২ PM
দেশের অন্যতম প্রাচীন বিদ্যাপীঠ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৫৩ সালে যাত্রা করে পঠনপাঠন শিক্ষা, গবেষণা, অবকাঠামো উন্নয়ন ও সৌন্দর্য বর্ধনে বেশ সুনাম কুড়িয়েছে এ বিশ্ববিদ্যালয়। কালের প্রবাহে বাঙালির বহু আন্দোলন-সংগ্রামের স্বাক্ষী হয়েছে এ ক্যাম্পাস। ভাষা আন্দোলন থেকে স্বাধীনতা যুদ্ধ ও তৎপরবর্তীকালের বিভিন্ন আন্দোলনে বহু ত্যাগ শিকার করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী। দেশের জন্য আত্মদান করে স্মরণীয় হয়ে আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক জ্ঞানতাপস।
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ পর্যন্ত এই বিদ্যাপীঠ থেকে তৈরি হয়েছে অনেক বিজ্ঞানী, সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক, বুদ্ধিজীবী, অর্থনীতিবিদ, সমাজনীতিবিদ, রাজনীতিবিদ, কূটনীতিবিদ, অভিনেতা, নাট্যকার, গবেষক, ইতিহাসবিদ, শিক্ষাবিদ, জ্ঞানী-গুণী ও সৃষ্টিশীল ব্যক্তিত্ব। এছাড়া ক্যাম্পাসজুড়ে স্থাপিত দৃষ্টিনন্দন ভাস্কর্য ও সৌন্দর্যবর্ধক জায়গা বিশ্ববিদ্যালয়কে করেছে আকর্ষণীয়। এমনকি চির সবুজ ক্যাম্পাসের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মূহুর্তেই সকলের নজর কাড়ে।
পড়ুন: ইংরেজিতে ভাল নম্বর পাওয়ার কৌশল
শুধু তাই নয়! উচ্চ শিক্ষা, গবেষণা-প্রযুক্তি, রাজনীতি, অর্থনীতি, সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চার অন্যতম তীর্থস্থান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীর উচ্চতর ডিগ্রির পাশাপাশি রয়েছে আরো অনেক সুযোগ-সুবিধা।
উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন
দেশের খ্যাতনামা এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতি বছর হাজার হাজার শিক্ষার্থী উচ্চতর ডিগ্রি লাভ করেন। কেননা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রদত্ত ডিগ্রিসমূহের মধ্যে রয়েছে- স্নাতক (সম্মান): বিএ , বিএফএ, বিপিএ, বিএসসি, বিফার্ম, এলএলবি, বিবিএ, বিএসএস, বিএসসি এজি, বিএসসি ফিশারীজ ও বিএড।
স্নাতক: বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং, বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, বিএসসি ইন ফিজিওথেরাপি, বিএসসি ইন নার্সিং, বিএসসি (পোস্ট বেসিক) নার্সিং/পাবলিক হেল্থ্ নার্সিং ও বিএসসি ইন মেডিকেল টেকনোলজি (ল্যাবরেটরি/ডেন্টাল)
স্নাতকোত্তর: এমএ, এমএফএ, এমপিএ, এমএসসি, এমফার্ম, এলএলএম, এমবিএ, এমএসএস, এমএস এজি, এমএস ফিশারীজ, এমএড ও এমপিএস।
বৃত্তিমূলক ডিগ্রি: এমবিবিএস, বিডিএস ও ডিভিএম।
স্নাতকোত্তর (চিকিৎসা): এমফিল, এমএস, এমডি, এমপিএইচ ও ডিপ্লোমা।
উচ্চতর ডিগ্রি: এমফিল ও পিএইচডি।
এছাড়াও অন্যান্য ডিগ্রির মধ্যে রয়েছে: সার্টিফিকেট ইন ল্যাংগুয়েজেজ, সিনিয়র সার্টিফিকেট ইন ল্যাংগুয়েজেজ, পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন জেনারেল সেরিকালচার, পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন এডুকেশন ও পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন ইনফরমেশন টেকনোলজি।
উন্নত ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্টের সুযোগ
শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ও ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্টের জন্য রয়েছে বিশাল কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, প্রত্যেক বিভাগের নিজস্ব সেমিনার কক্ষ, রিডিং রুম, বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্বাবধানে পরিচালিত রাবি ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সেন্টার, রোভার স্কাউট গ্রুপ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি), রাবি ক্যারিয়ার ক্লাব, জাতিসংঘ ভিত্তিক সংগঠন আরইউমুনা ও রাবি হায়ার স্টাডি ক্লাব, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি), রোটারি ক্লাব ও রাবি পাঠক ফোরাম। এসব জায়গায় যুক্ত হয়ে শিক্ষার্থীরা নিজের ক্যারিয়ার গড়ার পাশাপাশি উন্নত মানুষ হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মুক্ত সংস্কৃতি চর্চার জন্য রয়েছে বিভিন্ন সংগঠন। গান শিখতে আগ্রহী হলে রয়েছে বাংলাদেশ গণশিল্পী সংস্থা, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠি, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, অরণী সাংস্কৃতিক সংসদ। নৃত্য-নাটকের সংগঠন অনুশীলন নাট্যদল, সমকাল নাট্যচক্র, রাজশাহী ইউনিভার্সিটি ড্রামা এসোসিয়েশন (রুডা), তীর্থক নাটক, বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটার রাজশাহী, অ্যাসোসিয়েশন ফর কালচার অ্যান্ড এডুকেশন (এস্) ও বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্টি। আবৃত্তির সংগঠন স্বনন ও ঐকতান। সাহিত্য চর্চার সংগঠন চিহ্ন, স্নান এবং চলচ্চিত্র বিষয়ক সংগঠন ম্যাজিক লণ্ঠন ও রাবি ফিল্ম সোসাইটি।
শুধু কি তাই? বিজ্ঞান চর্চায় জন্য রয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স ক্লাব, বিজ্ঞান আন্দোলন মঞ্চ ও এগ্রিকালচারাল ক্লাব। বিতর্কের সংগঠন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং ফোরাম (আরইউডিএফ), গ্রুপ অব লিবারেল ডিবেটরস (গোল্ড বাংলাদেশ), ক্রিডেন্স, রেটোরিক। মুটিংয়ের জন্য রয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মুট কোর্ট সোসাইটি এবং শিল্পচর্চা জন্য রয়েছে শিল্পযাত্রা, বরেন্দ্র আর্ট সোসাইটি ও জলটল।
স্বেচ্ছাসেবায় নিয়োজিত হয়ে দরিদ্র-অসহায় ও পথশিশুদের কাজ করতে আগ্রহ থাকলে যুক্ত হওয়ার সুযোগ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নবজাগরণ ফাউন্ডেশন ও ইচ্ছে। যারা দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে কাজ করে। শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা ও শরীরচর্চার জন্য রয়েছে শেখ রাসেল স্টেডিয়াম, আধুনিক জিমনেসিয়াম ও দৃষ্টিনন্দন সুইমিং পুল। ছাত্রছাত্রীদের থাকার জন্য পৃথক ১৭টি আবাসিক হল রয়েছে। যেখানে পড়াশোনা ও খেলাধুলাসহ নানাবিধ সুযোগসুবিধা রয়েছে।
তাছাড়া লেখালেখিতে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে সাংবাদিক সংগঠন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটি (রুরু), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (রাবিসাস)। যারা বস্তুনিষ্ঠ ও সমৃদ্ধ লেখনি শক্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি উন্মোচনে অগ্রণী ভূমিকা রাখে।
সর্বপরি নাচে-গানে, তর্কে-বিতর্কে, বক্তৃতা, দক্ষতা-গবেষণা ও সংস্কৃতি চর্চায় নিজেকে সকলের মাঝে মেলে ধরতে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চ, কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তন ও শহীদ সুরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তনসহ সমগ্র ৭৫৩ একরের বুক।
বাঙালির আন্দোলন-সংগ্রামে অবদান ও প্রেরণা
স্বাধীনতা যুদ্ধসহ বাঙালির গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলন-সংগ্রামে আত্মত্যাগকারী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মহান ব্যক্তিদের রক্ত ও ত্যাগের ইতিহাস আজন্মকাল জাতির কাছে চির স্বরণীয়। তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন- দেশের প্রথম শহীদ বুদ্ধিজীবী ড. শামসুজ্জোহা, শহীদ বুদ্ধিজীবী সুখরঞ্জন সমাদ্দার, শহীদ বুদ্ধিজীবী হবিবুর রহমান, শহীদ বুদ্ধিজীবী মীর আবদুল কাইয়ুম, ইতরাত হোসেন জুবেরী, মজিবর রহমান দেবদাস প্রমূখ।
মহান এ ব্যক্তিদের অবদান চির স্বরণীয় করে রাখার পাশাপাশি বাঙ্গালীর আন্দোলন-সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত করতে ক্যাম্পাসে স্থাপিত হয়েছে সাবাস বাংলাদেশ ভাস্কর্য, স্ফুলিংঙ্গ, শহীদ জোহা চত্বর, শহীদ মিনার চত্বর, বুদ্ধিজীবী চত্বর, শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা ও বদ্ধভূমির মতো স্থাপত্যশিল্প। যেগুলো সর্বদা অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে শিক্ষার্থীদের মনে শক্তি-সাহস ও অনুপ্রেরণা জোগায়।
রাবির ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেছেন যারা
গবেষণা, জ্ঞান, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও রাজনীতিতে অসামান্য অবদান রেখে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস সমৃদ্ধ করেছেন অনেক জ্ঞানী-গুণী। তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন- প্রখ্যাত ভাষা বিজ্ঞানী ও সাহিত্যিক ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, নন্দিত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক ও সেলিনা হোসেন, ইতিহাসবিদ আব্দুল করিম, তাত্ত্বিক ও সমালোচক বদরুদ্দীন উমর, ইতিহাসবিদ ডেভিড কফ, নৃবিজ্ঞানী জোহানা কর্ক প্যাট্রিক, ভাষা সৈনিক প্রখ্যাত নাট্যকার ও অভিনেতা মমতাজউদ্দীন আহমেদ, দেশের প্রথম হিন্দু মহিলা বিচারক কৃষ্ণা দেবনাথ, আরবী ভাষা পণ্ডিত আফতাব আহমাদ রহমানী, বাংলাদেশ ব্যাংক ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল, খ্যাতনামা রাজনীতিবিদ আনিসুল হক ও রুহুল কবীর রিজভী, দেশের খ্যাতিমান কুটনৈতিবিদ এইচটি ইমাম।
দেশের প্রথম নারী নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম, দেশের আইনজ্ঞ প্রধান বিচারপতি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, প্রখ্যাত কন্ঠশিল্পী এন্ড্র কিশোর, অভিনেতা আহমেদ শরীফ, মনোজ প্রামানিক, চিত্রনায়ক রিয়াজ, চলচ্চিত্র পরিচালক গিয়াসউদ্দিন সেলিম, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট, নবীন ক্রিকেটার আল-আমিন হোসেন, দেশ সেরা স্প্রিন্ট দৌড় কিংবদন্তি শিরিন আক্তার, খ্যাতনামা বিজ্ঞানী ইমেরিটাস অধ্যাপক অরুন কুমার বসাক, অর্থনীতিবিদ সনৎ কুমার সাহা, বাংলা একাডেমি পুস্কারপ্রাপ্ত নাট্যকার মলয় ভৌমিক, ইতিহাসবিদ আবুল কাশেম, চিত্তরঞ্জন মিশ্র, মৎস গবেষক ইয়ামিন হোসেন ও উদ্ভিদ বিজ্ঞান গবেষক অধ্যাপক মনজুর হোসেন প্রমূখ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে এ ইতিহাসের অংশ হওয়ার পাশাপাশি নিজেকে সেই মানের করে গড়ে তোলার সুযোগ রয়েছে।
ক্যাম্পাসে প্রাণ খুলে আড্ডার সুযোগ
সকাল থেকে রাত পর্যন্ত হাসিঠাট্টা ও আনন্দ-উল্লাসে মেতে থাকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। গান ও গল্প-গুজবে সকাল পেরিয়ে বিকেল, এমনকি বিকেল পেরিয়ে সন্ধ্যা নামে তবুও শিক্ষার্থিদের কাটে না আড্ডার রেশ। শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও বন্ধু-বান্ধবের আড্ডা ও খুনসুটির প্রাণকেন্দ্র টুকিটাকি চত্বর ও পরিবহন মার্কেট। প্রেমিক যুগলদের প্রাণের স্পন্দন ইবলিশ চত্বর। হাজারো শিক্ষার্থীর আবেগ-অনুভূতির তীর্থস্থল প্যারিস রোড। যে রোড যুগযুগ ধরে আন্দোলন-সংগ্রামের চিহ্ন বহন করার পাশাপাশি প্রেমিক-যুগলের ভালোবাসা ও ব্যর্থতার স্বাক্ষী হয়ে রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উৎসব-অনুষ্ঠানের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র চারুকলা, প্যারিস রোড ও শহীদ মিনার চত্বর সংলগ্ন মুক্তমঞ্চ। এমনকি ভ্রমণ উল্লাসে মেতে উঠতে শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একঝাঁক নীল-সাদা বাস।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী গোলাম রব্বিল বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে সমৃদ্ধ এক ইতিহাস। এমনকি শিক্ষার গুণগত মানের পাশাপাশি নিজের উন্নত ক্যারিয়ার ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গঠনে সর্বাধিক সুযোগ রয়েছে এই ক্যাম্পাসে। তাছাড়া মনোরম পরিবেশ ও নানাবিধ সুযোগ-সুবিধায় দেশের অন্যতম এ বিদ্যাপীঠ যুগ যুগ ধরে তৈরি করছে শত শত সৃষ্টিশীল মানুষ। যারা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সফলতার স্বাক্ষর বহন করার পাশাপাশি মানবিক কল্যাণে কাজ করছেন।
তিনি বলেন, উন্নত গবেষণা ও আধুনিক পঠন-পাঠনের লক্ষ্যে বর্তমান প্রশাসনের নেয়া ৫০ বছরের মহাপরিকল্পনা বিশ্ববিদ্যালয়কে আরো একধাপ এগিয়ে নিবে। এছাড়া শিক্ষা ও গবেষণা-প্রযুক্তি খাতে বাজেট বৃদ্ধির পাশাপাশি বর্তমান প্রশাসনের শিক্ষার্থী বান্ধব বিভিন্ন কার্যক্রম পড়াশোনার অনুকূল পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা রাখবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইশরাত জাহান নিতু বলেন, দেশের অন্যান্য যায়গার তুলনায় রাজশাহীর পরিবেশ ও নিরাপত্তার বিষয়টি অনেক উন্নত। এমনকি এখানে থাকা-খাওয়ার খরচও তুলনামূলকভাবে সহনশীল। কেননা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় শিক্ষার্থীই মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার থেকে আসে। সব মিলে দেশের অন্যতম এ শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ থেকে নিজের একটা সুন্দর ভবিষ্যতে গড়ার পাশাপাশি উন্নত মানুষ হওয়ার অপার সম্ভাবনা এখানে রয়েছে।