লুট নয়, ‘প্রশাসনের অব্যবস্থাপনায়’ খাবারে সংকট: ছাত্রলীগ
- রাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২২, ০৮:২৭ PM , আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২২, ০৮:২৭ PM
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আবাসিক ছাত্রদের জন্য বরাদ্দকৃত খাবার লুটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে হল শাখা ছাত্রলীগের নেতারা বলেছেন খাবার বিতরণে প্রশাসনের অব্যবস্থাপনায় কারণে এ ধরনের সংকট তৈরি হয়েছে।
শনিবার (২৬ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুজ্জোহা হলের ডাইনিংয়ে আবাসিক ছাত্রদের খাবার বিতরণকালে এ ঘটনা ঘটে।
শামসুজ্জোহা হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. একরামুল ইসলাম বলেন, খাবার পরিবেশনকালীন ছাত্রলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা টোকেন ছাড়াই আমাদের কাছে একজনের জন্য পাঁচটা করে খাবারের প্যাকেট দাবি করে। আমরা তাদের জনপ্রতি এক প্যাকেট করে খাবার দিতে রাজি হই। কিন্তু তারা আমাদের আদেশ অমান্য করে জোড়পূর্বক প্রায় ১২০ প্যাকেট খাবার নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, এতে অনেক শিক্ষার্থীর টোকেন থাকা সত্বেও তাদেরকে সময় মতো আমরা খাবার দিতে পারিনি। তবে পরবর্তীতে আমরা পার্শ্ববর্তী হোটেল থেকে খাবার ক্রয় করে তাদের খেতে দিয়েছি।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসের খাবার লুটে নিল ছাত্রলীগ
পাল্টা অভিযোগ করেছেন ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টরা। হল শাখা সভাপতি চিরন্তন চন্দ এবং সাধারণ সম্পাদক মোমিন ইসলাম বলেন, আমাদের সকল কর্মীদের জন্য আমরা একসঙ্গে খাবারের প্যাকেটগুলো নিয়েছিলাম। আর ১২০ প্যাকেট খাবার নেওয়ার অভিযোগটি পুরোপুরি ভিত্তিহীন। আমরা ৭০ প্যাকেটের মতো খাবার নিয়েছি। খাবার সংকটের এই বিষয়টি হল প্রশাসনের অব্যবস্থাপনার জন্যই হয়েছে।
এদিকে, খাবার না পাওয়া সারোয়ার নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, টোকেন নিয়ে খাবার নেয়ার জন্য দাঁড়িয়ে থাকাকালীন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের এমন আচরণ দেখে আমার কান্না চলে এসেছিল। তাদের এমন আচরণ দেখে হল প্রাধ্যক্ষের কাছে আমার টোকেনটি জমা দিয়ে খাবার না নিয়েই চলে আসি।
হল প্রাধ্যক্ষ বলেন, অভিযুক্তরা ছাত্রলীগ বা যে দলেরই হোক না কেন, তারা প্রথমত হলের শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থী হিসেবে তারা হলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছে। আমি এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে তাদের হল থেকে বহিষ্কার করাসহ আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এরা ছাত্রলীগকে শেষ করে দিচ্ছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে হল প্রাধ্যক্ষ এবং হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের কথা হয়েছে। তারা এটি সমাধান করে নিয়েছেন।’