প্রথম স্ত্রীর মামলায় ফ্রান্সে জরিমানা দেন ঢাবি ছাত্রী ইলমার স্বামী

স্বামীর সঙ্গে ঢাবি ছাত্রী ইলমা
স্বামীর সঙ্গে ঢাবি ছাত্রী ইলমা  © ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নৃত্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী ইলমা চৌধুরী মেঘলার মৃত্যুর ঘটনায় কানাডাপ্রবাসী স্বামী ইফতেখার আবেদীনের তিনদিনের রিমান্ডে রয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) রিমান্ডের প্রথম দিন চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, মামলার অন্য আসামি ইফতেখারের মা-বাবাকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের ইফতেখার জানান, প্রথম স্ত্রীর কথা গোপন করে ইলমা চৌধুরী মেঘলার সঙ্গে দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন তিনি। প্রথম স্ত্রীকে বিয়ে করেন ফ্রান্সে। তাকেও বিয়ের পর নির্যাতন করত ইফতেখার। নির্যাতনের শিকার প্রথম স্ত্রী ফ্রান্সে মামলা করলে সেখানে মোটা অঙ্কের ইউরো জরিমানা দিয়ে কানাডায় আসেন তিনি। 

রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদকারী বনানী থানা পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, ইলমা হত্যায় জিজ্ঞাসাবাদে স্বামী ইফতেখার মুখ খুলছেন। ইফতেখার তার স্ত্রী ইলমাকে সন্দেহ করতেন। তার ধারণা ছিল ইলমা কারও সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত ছিল।

এমন ধারণা এলো কেন? পুলিশের পক্ষ থেকে এমন প্রশ্ন করা হলে ইফতেখার বলেন, তিনি দীর্ঘদিন ইউরোপের বিভিন্ন দেশে সময় কাটিয়েছেন। অনেকের সঙ্গে তার অনৈতিক সম্পর্ক ছিল। তিনি বিদেশ থাকায় তার স্ত্রীকেও সন্দেহ হতো। তাই ইলমার সঙ্গে সবসময় খারাপ আচরণ করেছেন।

এদিকে ইলমার বাবা সাইফুল ইসলাম বলেন, ইফতেখার আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সে প্রথম স্ত্রীর কথা গোপন করেছে। তার মা-বাবা বলেছেন, তাদের ছেলে প্রথম থেকেই কানাডায় থাকেন। মেয়েটাকে হত্যার পর জানতে পারেন ইফতেখার ফ্রান্সেও বিয়ে করেছিলেন। ওই ঘরে একটি সন্তানও রয়েছে। ওই স্ত্রীকেও নির্যাতন করতেন ইফতেখার। পরে ওই স্ত্রী ফ্রান্সে মামলা করলে বিপুল পরিমাণ ইউরো জরিমানা করেন।

গত মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বনানীতে স্বামীর বাসায় মারা যান ইলমা। এ ঘটনায় রাতেই ইলমার বাবা সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বাদী হয়ে বনানী থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় ইলমার স্বামী, শ্বশুর ও শ্বাশুড়িকে আসামি করা হয়।


সর্বশেষ সংবাদ