প্রতিবাদের ভাষাও যেন নান্দনিক হয়, হাফিজুরের ইস্যুতে ঢাবি প্রক্টর

প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী
প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী  © ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমানের মৃত্যুর ঘটনাটি খতিয়ে দেখে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এদিকে, তার মৃত্যুর সব ঘটনার তথ্য বিশ্লেষণ করে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনও এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চেয়ে প্রকৃত দোষীদের বের করার জোর দাবি জানিয়েছে।

গত ১৫ মে নিখোঁজ হওয়ার ৯ দিনপর গত রবিবার (২৩ মে) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে হাফিজুর রহমানের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে হাফিজুর নিজেই আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করা হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সে দাবি নাকচ করে এ ঘটনা প্রকৃত কারণ বের করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি জোর দাবি জানায়। গত সোমবার (২৪ মে) ও মঙ্গলবার (২৫ মে) এ নিয়ে ক্যাম্পাসে কর্মসূচিও পালন করা হয়।

হাফিজুরের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তদন্দের অগ্রগতি কতটুকু হয়েছে- জানতে চাইলে মঙ্গলবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। এ নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। গণমাধ্যমেও যে তথ্যগুলো আসছে তাও আমলে নিয়ে কাজ করছে। তাছাড়া তার সঙ্গে থাকা সহপাঠীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এতে কিছু একটা বেরিয়ে আসবে বলে আশাবাদ অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানীর।

এ ঘটনার তদন্ত চলছে তাই তথ্যপ্রমাণ কিংবা কোন স্বীকারোক্তি বের না হতে কেউকে কোন ধরনের অনুমান নির্ভর কোন কথা কিংবা কোন কিছু না লিখতে (সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে) অনুরোধ জানান প্রক্টর। তিনি বলেন, অনুমানের ভিত্তিতে কেউ যেন বিভ্রান্ত না ছড়ায়। এতে সবাই বিভ্রান্ত হবে। আমরা অশাবাদী থাকি যেন, সুষ্ঠু তদন্তে এ ঘটনার প্রকৃত কারণ বেরিয়ে আসবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা কোন পক্ষ-বিপক্ষ নয়। সাবেক ও বর্তমান সবাই বিশ্ববদ্যিালয় পরিবারের আংশ। হাফিজুরের ঘটনায় যে কারও বক্তব্য থাকতে পারে। তবে আমরা যা লিখছি অনলাইনে (সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে) সেটি নান্দনিক কিংবা সুন্দর ভাষায় হতে পারে। হোক সেটা তার প্রতিবাদের ভাষা। প্রতিবাদে ভাষাও যেন নান্দনিক হয়।


সর্বশেষ সংবাদ