ঢাবিতে ইউনেস্কো চেয়ার: ১২৫টি দেশের সঙ্গে অ্যাকাডেমিক সংযোগ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৫, ০৪:৪৭ PM , আপডেট: ২৫ জুন ২০২৫, ১০:১২ PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) “ইনক্লুশন ইন হায়ার এডুকেশন সিস্টেমস” শীর্ষক একটি ইউনেস্কো চেয়ার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটি ইউনেস্কোর ইউআইটিডব্লিউআইএন/ ইউনেস্কো চেয়ার প্রোগ্রাম-এর অংশ হিসেবে গঠিত, যার মাধ্যমে এখন ঢাবি যুক্ত হলো বিশ্বের ১২৫টি দেশের এক হাজারেরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে।
চেয়ার প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ইউনেস্কোর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। ঢাবির পক্ষে স্বাক্ষর করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান এবং ইউনেস্কোর পক্ষে স্বাক্ষর করেন সংস্থার মহাপরিচালক অদ্রে আজুলে।
চেয়ারের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ এবং কো-চেয়ারপার্সন হবেন একই ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মো. আহসান হাবিব। তাদের নেতৃত্বে এই চেয়ার গবেষণা, প্রশিক্ষণ, নীতিনির্ধারণী সংলাপ এবং কমিউনিটি সম্পৃক্ততা বিষয়ক কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
ঢাবি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই ইউনেস্কো চেয়ারের মাধ্যমে শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হতে পারবেন। এতে করে যৌথ শিক্ষা কার্যক্রম, গবেষণা, সেমিনার এবং আন্তর্জাতিক কোলাবরেশন অনেক বেশি বিস্তৃত হবে।
চেয়ারটির মূল লক্ষ্যগুলো হলো— অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা ও সমতা নিয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধি, উচ্চশিক্ষায় অন্তর্ভুক্তি নিয়ে গবেষণা ও প্রকাশনায় উৎসাহ দেওয়া, আলোচনা সভা, সেমিনার ও ওয়েবিনারের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও গবেষকদের জন্য জ্ঞান বিনিময়ের সুযোগ সৃষ্টি।
জানা যায়, চেয়ারটির প্রথম মেয়াদ চলবে ৩০ জুন ২০২৯ পর্যন্ত। এর কার্যক্রমের মূল্যায়ন করে পরবর্তীতে ইউনেস্কোর কাছে নবায়নের আবেদন করতে হবে।
চুক্তি অনুযায়ী, ইউনেস্কো চেয়ারের সব কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও প্রশাসনিক সহায়তা দেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তবে ইউনেস্কো চেয়ার লোগো ব্যবহারে নির্ধারিত বিধিমালা কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে এবং কোনো অবস্থাতেই তা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যাবে না।
আরও পড়ুন: জাবির আবাসিক হল থেকে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মনে করে, এই ইউনেস্কো চেয়ার দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থায় ন্যায্যতা, অন্তর্ভুক্তি ও আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে একটি নতুন মাইলফলক স্থাপন করবে।