রাবিতে মৎস্য অধিদপ্তরের প্রস্তাবিত অর্গানোগ্রাম বাস্তবায়ের দাবি
- রাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৫ মে ২০২৫, ০১:৪৭ PM , আপডেট: ২২ জুন ২০২৫, ০২:৫৮ PM

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন মৎস্য অধিদপ্তরের প্রস্তাবিত অর্গানোগ্রাম বাস্তবায়ন ও নতুন পদে দ্রুত নিয়োগের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। আজ সোমবার (৫ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে এ মানববন্ধন করা হয়।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন মৎস্য অধিদপ্তর ২০১৫ সালে ‘মৎস্য সম্প্রসারণ ও মাননিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা’পদে ৩৯৫টি নতুন পদ সৃষ্টি ও অর্গানোগ্রাম সংশোধনের প্রস্তাবনা উত্থাপন করলেও বিগত ১০ বছরেও এর বাস্তবায়ন হয়নি। ২০১৫ সালের এপ্রিলে উপসচিব সফিকুল ইসলামের স্বাক্ষরিত প্রস্তাবনায় ৩৯৫টি নতুন পদসহ সর্বমোট ৬৩৭টি স্থায়ী পদ সৃজিত হয়। এতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও অর্থ বিভাগের ব্যয় নিয়ন্ত্রণ অনুবিভাগের সম্মতি গ্রহণ করা হয়েছিল এবং পদগুলোর বেতন স্কেল অর্থ বিভাগের বাস্তবায়ন অনুবিভাগ কর্তৃক নির্ধারণ করার কথা বলা হয়। একই সঙ্গে যাবতীয় ব্যয়ভার মৎস্য অধিদপ্তরের রাজস্ব বাজেটের সংশ্লিষ্ট খাত হতে মিটানো জন্য বলা হয়।
ফিসারিজ বিভাগের শিক্ষার্থী জান্নাতুন নাঈম বলেন, ‘বিসিএস (মৎস্য) কম্পোজিশন ও ক্যাডার রুলসে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা, যেসব পদ নিয়োগ বিধিতে অন্তর্ভুক্ত নেই, সেসব পদ নিয়োগবিধিতে অন্তর্ভুক্ত করা এবং সৃজিত পদসমূহে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে ধাপে ধাপে ৩ বছরে নিয়োগের কার্যক্রম গ্রহণ করতে বলা হয়। অথচ বিগত ১০ বছরেও এর বাস্তবায়ন আমরা দেখতে পাইনি। ফলে একদিকে যেমন ফিশারিজ সেক্টরের সার্বিক উন্নয়ন ব্যহত হচ্ছে তেমনি ফিশারিজ গ্র্যাজুয়েটরা নিজেদের যোগ্যতা অনুযায়ী এই সেক্টরে অবদান রাখতে পারছে না। আমরা খুব দ্রুত নিয়োগবিধিতে এই ৩৯৫টি পদের অন্তর্ভুক্তি এবং অর্গানোগ্রামের বাস্তবায়ন চাই। আমাদের দাবি নতুন পদ তৈরি করা নয় বরং আমরা চাই ২০১৫ সালে সৃজনকৃত স্থায়ী ৬৩৭টি পদের অর্গানোগ্রামের বাস্তবায়ন।’
আরও পড়ুন: নিষ্ক্রিয় ছাত্র সংসদের জন্য ফি আদায়, ব্যয় কোথায় জানেন না শিক্ষার্থীরা
একই বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের র্শিক্ষার্থী জান্নাতুল হক সিমু বলেন, ‘মৎস্য অধিদপ্তরের ২০১৫ সালের অর্গানোগ্রাম বাস্তবায়িত হলে দেশের মৎস্য খাত আরও গতিশীল হতো। কিন্তু ১০ বছরেও কোনো অগ্রগতি নেই। আমাদের দাবি, শুধু নতুন পদ নয়, পূর্বে সৃষ্ট ৬৩৭টি স্থায়ী পদে দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হোক।’
২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের র্শিক্ষার্থী অন্তরা বলেন, ‘আমাদের দাবি নতুন কোনো পদ সৃষ্টি নয়, বরং ২০১৫ সালে সৃজিত ৬৩৭টি স্থায়ী পদের অর্গানোগ্রাম দ্রুত বাস্তবায়ন করা হোক। এই পদের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও অর্থ বিভাগের অনুমোদন থাকলেও ১০ বছরেও বাস্তবায়ন হয়নি। এতে আমরা ফিশারিজ গ্র্যাজুয়েটরা আমাদের যোগ্যতা অনুযায়ী সেক্টরে অবদান রাখার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।’