‘ই-মেইল পাঠাতে পারছে না ঢাবি’— ছাত্রীর ফেসবুক পোস্ট ভিসির নজরে আসতেই সমাধান
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:১৩ PM , আপডেট: ২৪ জুন ২০২৫, ১২:৫০ PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থী সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক দুর্বলতা এবং ট্রান্সক্রিপ্ট ইস্যু নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়টির রসায়ন বিভাগের তাসনিম মাহাজাবিন নামে ওই শিক্ষার্থী সামাজিক মাধ্যমে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার অফিসের কর্মকর্তারা তাঁর পিএইচডি আবেদন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করেছেন।
শিক্ষার্থী জানান, তিনি কয়েকটি আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি প্রোগ্রামে আবেদন করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু সেখানকার নিয়ম অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ট্রান্সক্রিপ্ট পাঠানোর প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়। শিক্ষার্থী নিজেই ট্রান্সক্রিপ্টের স্ক্যান কপি রেজিস্টার অফিসে পাঠালেও, অফিস কর্মকর্তারা সেটি ফরোয়ার্ড করার জন্য ১৩০০ টাকা দাবি করেন। এর পাশাপাশি, তিনি অভিযোগ করেন, শুধুমাত্র তার পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলে জানানো হয়, যা তাকে হতাশ করে।
“আমার জন্য যে কাজটা মাত্র ৩০ সেকেন্ডে হয়ে যেতে পারতো, সেই কাজটা করা হলো না। আমার পরিবার ছাড়া যেন আমার কোনো কাজই হতে পারে না,”—এমন মন্তব্য করেন তিনি।
শিক্ষার্থী আরও বলেন, ‘আমি গত ছয় বছর ঢাবিতে পড়াশোনা করেছি, কিন্তু যদি আমার ট্রান্সক্রিপ্টের কপি আমি কোথাও পাঠাতে না পারি, তাহলে এই সময়টাকে আমি কীভাবে মূল্যায়ন করব?’ তিনি এই দুর্ভোগের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাঠামোর তীব্র সমালোচনা করেন।
তবে, শিক্ষার্থীর কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তা দ্রুত উদ্যোগ নেন এবং সমস্যার সমাধান করেন। শিক্ষার্থীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে, ভিসির আন্তরিক সহযোগিতায় এবং প্রশাসনিক পদক্ষেপের মাধ্যমে ট্রান্সক্রিপ্ট সফলভাবে প্রেরণ করা হয়।
এ বিষয়ে শিক্ষার্থী আরও বলেন, ‘আমি এই ঘটনার পর আশ্বস্ত হয়েছি যে, ভবিষ্যতে এমন বিড়ম্বনা আর হবে না। আমি কৃতজ্ঞ যে অনেক সিনিয়র ও জুনিয়র আমাকে সহযোগিতা করেছেন।’
তিনি জানান, তাঁর এই অভিজ্ঞতা যদি অন্য কোনো শিক্ষার্থীর জন্য সাহায্য হতে পারে, তাহলে তিনি মনে করবেন এটি তার জন্য অবিরাম সংগ্রামের ফলস্বরূপ।
এ বিষয়ে ভিসি অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, বিষয়টি আমার নজরে আসার পর আমরা ওই শিক্ষার্থীর সাথে যোগাযোগ করি এবং যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে বলেছি।