জুলাই-বিপ্লবে হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে জাবিতে মানববন্ধন 

হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে জাবিতে মানববন্ধন 
হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে জাবিতে মানববন্ধন   © টিডিসি ফটো

জুলাই বিপ্লবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) হামলাকারী ও হামলার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা এবং বিচার নিশ্চিতের দাবিতে মানববন্ধন করেছে গণঅভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলন। 

আজ বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বেলা আড়াই টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। মানববন্ধনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন জাবি ইসলামি ছাত্র শিবিরের ও জাহাঙ্গীরনগর সংস্কার আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। মানববন্ধন শেষে রেজিস্ট্রার ভবন অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল করার মাধ্যমে এ কর্মসূচি শেষ হয়। 

জুলাই বিপ্লবে আহত এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘জুলাই-আগস্টে আমাদের উপর যে হামলা হয়েছিলো সেখানে আমি নিজে একজন আহত। আমার শরীরে এখনো অনেক স্প্রিন্টার রয়েছে যা অপারেশন করেও বের করা সম্ভব হয়নি। আজকে ৪ মাস হয়ে গেলেও হামলাকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। অথচ আমরা ভেবেছিলাম ৫ আগস্ট পরবর্তী আমরা এক স্বাধীন দেশ পাবো এবং যারা হামলার সাথে জড়িত ছিল তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে। কিন্তু ৪ মাস হয়ে গেলেও তাদের গ্রেফতার তো দূরের কথা, প্রশাসন থেকে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। এমনকি আমরা দেখতে পাচ্ছি হামলায় অংশ নেওয়া নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের অনেক সন্ত্রাসী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ক্লাস করতেছে।’

মানববন্ধনে ছাত্র শিবিরের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি হারুনুর রশিদ বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের পর প্রশাসনের উচিত ছিল নিজ দায়িত্বে দ্রুত সময়ের মধ্যে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে বিচার করা। অথচ প্রশাসনের অবহেলায় আজ হামলাকারীরা ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ওপর আস্থা রাখায় আমরা এখনো বড় ধরনের কোনো আন্দোলনে যাইনি। আমরা চাই হামলায় জড়িতদের ও মদদ দেওয়া শিক্ষকদেরও তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিতে হবে। জুলাই বিপ্লবের সন্ত্রাসীদের দ্রুত পুলিশে সোপর্দ করে বিচার নিশ্চিত না করলে আগামীতে তারা গণঅভ্যুত্থানের নায়কদের ওপর হামলা চালাবে।’

গণঅভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের চার মাস পেরিয়ে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সদিচ্ছার অভাবে তদন্ত কমিটি তাদের কাজ শেষ করতে পারেনি। আগামী সাত দিনের মধ্যে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মামলা না করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হবে। আমরা হামলাকারীদের সাথে একই ক্লাসে বসে ক্লাস করতে চাই না। বিচার না করলে প্রশাসনের পরিণতি ভালো হবে না।


সর্বশেষ সংবাদ