পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে রাবি শিক্ষার্থীদের ‘রেড কার্ড’ প্রদশর্ন

‘রেড কার্ড’ প্রদর্শন কর্মসূচি
‘রেড কার্ড’ প্রদর্শন কর্মসূচি  © টিডিসি ফটো

পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে ‘রেড কার্ড’ প্রদর্শন কর্মসূচি পালন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। রবিবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুর ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে তারা এই কর্মসূচি পালন করেন। 

এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা আগামীকাল পোষ্য কোটার পক্ষে আর বিপক্ষে একটা রম্য বিতর্কের আয়োজন করেছি। সেখানে কোটার পক্ষে যারা তাদের জন্য চেয়ার ফাঁকা থাকবে। আপনারা এসে যুক্তি দেখান। যদি দেখাতে পারেন তাহলে আমরা মেনে নেব। আর যদি আপনারা না আসেন তাহলে ভেবে নেব আপনাদের কোনো যুক্তি নেই এবং আমরা জয়ী হবো।

কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা ,‘কোটা না মেধা? মেধা মেধা’, ‘সারা বাংলায় খবর দে কোটা প্রথার কবর দে’, ‘জনে জনে খবর দে পোষ্য কোটার কবর দে’, ‘সাকিব, আঞ্জুম, মুগ্ধ’, ‘জোহা স্যারের স্মরণে, ভয় করি না মরনে’,  ‘আপোষ না বিপ্লব, বিপ্লব  বিপ্লব’, ‘তুমি কে? আমি কে? মেধাবী মেধাবী’, ‘ছাত্রসমাজের অ্যাকশান ডাইরেক্ট অ্যাকশান’, ‘মেধাবীদের কান্না আর না আর না’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মেশকাত মিশু বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এবং অন্যান্য যেসব চাকরির নিয়োগের ক্ষেত্রে পোষ্য কোটার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে সেগুলোকে পুরোপুরি বিলুপ্ত করার জন্য আজকে আমরা পোষ্য কোটাকে লাল কার্ড দেখালাম। নতুন করে সেই পতিত কোটাকে যারা আবার জীবন দিতে চাচ্ছে তাদেরকে আমরা লাল কার্ড দেখিয়ে দিচ্ছি। আগামীকাল বিশ্ববিদ্যালয় শহিদ মিনার মুক্তমঞ্চে আমরা পোষ্য কোটা পক্ষে ও বিপক্ষে বিতর্কের আয়োজন করতে যাচ্ছি। 

কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাবি শাখার সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, আমরা চাই আগামীকালের ডিবেটে শিক্ষকদের প্রতিনিধি আসুক। তারা যদি যুক্তি দেখাতে পারে এবং আমাদের সাথে ডিবেট করে জিততে পারে যে তারা পোষ্য কোটার পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করবে আর আমরা পোষ্য কোটার বিপক্ষে প্রতিনিধিত্ব করবো মেধাবীদের পক্ষে। যদি তারা জিততে পারে তাহলে পোষ্য কোটা আমরা মেনে নিব। আর যদি না জিততে পারে তাহলে তাদেরকে মাথা নত করে যেতে হবে। আসার সাহস যদি না থাকে তাহলে আমরা ধরে নিব আপনারা সুবিধাভোগী শ্রেণি। সুবিধার জায়গায় সব রসুনের পিছন এক জায়গায়। এখানে সব রাজনৈতিকভাবে নয় আপনারা সুবিধার জায়গায় এক হয়ে আছেন। আপনারা আছেন আপনাদের সন্তানদের ফেল করানোর পরেও কীভাবে ভর্তি করাবেন, কীভাবে শিক্ষক বানাবেন। শিক্ষক হয়ে তখন তারা ক্লাসে গিয়ে পড়ানোর জায়গায় আমতা আমতা করবে। স্বাধীনতার পরবর্তীতে আমরা শিক্ষার্থীরা চাই অ্যাকাডেমিক জায়গাগুলো স্বচ্ছ থাকুক। 


সর্বশেষ সংবাদ