সারাদেশে চলছে তীব্র তাপদাহ যা পরামর্শ দিল আইসিডিডিআরবি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৫, ০৬:৩২ PM , আপডেট: ১৬ জুন ২০২৫, ০৬:২৯ PM

সারাদেশে চলছে তীব্র তাপদাহ। অতিরিক্ত এই তাপমাত্রা শরীরের ওপর নানা নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। গরমের কারণে হিটস্ট্রোক, হিটএকজোশন, মাথা ঘোরা, দুর্বলতা, ত্বক পুড়ে যাওয়াসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হলো গরমে পর্যাপ্ত পানি পান করা, রোদ থেকে সুরক্ষা নেওয়া, হালকা সুতিজাতীয় পোশাক পরা, একটানা কাজ না করে বিশ্রাম নেওয়া এবং খাবার ও পানীয়ের বিশুদ্ধতা নিশ্চিত করা। এসব গাইডলাইন অনুসরণ করে গ্রীষ্মকালের তাপদাহের মধ্যে স্বাস্থ্যঝুঁকি কমানো সম্ভব।
মঙ্গলবার (১০ জুন) আইসিডিডিআর,বির মেডিসিন বিভাগের বিজ্ঞানী মনিরা শারমিন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে এসব তথ্য জানান।
আইসিডিডিআর,বির মেডিসিন বিভাগের বিজ্ঞানী মনিরা শারমিন জানান, ‘আমি কিছুদিন ধরে গ্লোবাল ওয়ার্মিং নিয়ে কাজ করছি এবং দেখছি যে অতিরিক্ত গরমের ফলে শরীরে নানা ধরনের হিট-সম্পর্কিত অসুস্থতা দেখা দেয়। এগুলোর একটি ধারাবাহিক ধাপ রয়েছে। হিট শুরুতে মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব বা দুর্বল লাগা দিয়ে শুরু হয়। তারপর হিট একজোশন, হিট সিনকোপ এবং সর্বশেষ ও সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থায় পৌঁছায় হিট স্ট্রোকে। হিট স্ট্রোকে শরীরের তাপমাত্রা বিপজ্জনকভাবে বেড়ে যায়, ঘাম বন্ধ হয়ে যায় এবং মানুষ অজ্ঞান হয়ে পড়তে পারে।’
আরও পড়ুন: গরুর মাংস নিয়ে বিয়েবাড়িতে সংঘর্ষ, বরপক্ষ ফিরে গেল কনে ছাড়াই
মনিরা শারমিন জানান, ‘এই সময় অনেকে আতঙ্কে খাবার স্যালাইন খেয়ে থাকেন কিন্তু এটি একটি ভুল ধারণা। কারণ খাবার স্যালাইন তৈরি হয়েছে ডায়রিয়ার জন্য যেখানে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম ও পটাশিয়াম বেরিয়ে যায়। কিন্তু ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে মূলত পানি বের হয়। লবণের খুব বেশি ক্ষতি হয় না। তাই এই অবস্থায় খাবার স্যালাইন খেলে শরীরের ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্য বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এজন্য হিটজনিত অসুস্থতায় মূল করণীয় হচ্ছে পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি পান করা যাতে শরীরের পানির ঘাটতি পূরণ হয়।’
তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে আরও জানান, ‘তীব্র গরমে দৈনন্দিন কাজের ক্ষেত্রেও সতর্কতা প্রয়োজন। সাধারণত ৮ ঘণ্টা কাজ করা হলেও এই সময় কাজের পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়ানো উচিত যেন শরীর গরমের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে। একটানা দীর্ঘ সময় কাজ করলে ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে প্রচুর পানি বেরিয়ে যায়। যদিও লবণের ক্ষতি খুব বেশি হয় না। বিশেষ করে শ্রমিক, পুলিশ বা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের ক্ষেত্রে কাজের সময় ভাগ করে নেওয়া, অল্প অল্প করে কাজ করা এবং মাঝেমধ্যে বিশ্রাম নেওয়া হিটজনিত অসুস্থতা প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে।’