রাবিতে ব্যাংকে টাকা জমা দিতে ভোগান্তিতে ভর্তিচ্ছুরা

অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীরা
অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীরা  © সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার তিন ইউনিটের (‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’) প্রথম মেধাতালিকায় নাম আসা শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে আজ ১২ মে থেকে। ভর্তির শর্তানুযায়ী, ব্যাংকে ভর্তিচ্ছুদের নির্দিষ্ট টাকা জমা দিতে হচ্ছে। মাত্র একটি ব্যাংকে ফি জমা দেওয়ার ফলে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে তাদের। অনলাইনে টাকা জমা দেওয়ার ব্যবস্থা থাকলে তাদের এ ভোগান্তিতে পড়তে হতো না বলে জানিয়েছেন তারা। 

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রয়েছে রাষ্ট্রয়াত্ত অগ্রণী ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের শাখা। এছাড়া ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের একটি ফাস্ট ট্র‍্যাক জোনও রয়েছে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে। তবে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাংকের শাখা বা জোন ক্যাম্পাসে থাকলেও কেবল সোনালী ব্যাংকে ভর্তি সংশ্লিষ্ট ফি পরিশোধ করা যায়। এতে অনেক সময়ই লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হচ্ছে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের।

গাইবান্ধা থেকে ভর্তি হতে আসা মুশফিকা আক্তারের মা জানান, গতকাল রাতে জার্নি করে রাজশাহীতে এসেছি। সকাল ৮টা থেকে এখানে আছি। ব্যাংকে টাকা দিতে এসে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে পা ব্যাথা হয়ে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন যদি ভর্তিচ্ছুদের কথা চিন্তা করে যদি টাকা জমা দেওয়ার বিষয় অনলাইনে করতো তাহলে ভালো হতো।

এ দিকে কুমিল্লা থেকে আসা আরেক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী মাহফুজ আরিয়ান বলেন, আমি ঢাবিতে সমাজবিজ্ঞান সাবজেক্টে ভর্তির সুযোগ পেলেও রাবিতে ল আসায় এখানে ভর্তি হতে এসেছি। কিন্তুু ডিন'স অফিসে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে ভাইভা দিয়ে আসলাম। আবার সোনালী ব্যাংকেও টাকা জমা দিতে এসে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। এখানে একটা বুথ থাকায় টাকা দিতে দীর্ঘ লাইন হচ্ছে। ব্যাংকে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছি। আমার মনে হয় অনলাইনে টাকা জমা দেওয়ার সিস্টেম করলে ভালো হতো। তাহলে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কম হবে ।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ডিনদের সাথে এ বিষয়ে কথা বলব। কারণ আমাদের দেশে সবকিছু অনলাইনে হচ্ছে। পরবর্তীকালে কীভাবে অনলাইন টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা যায় সে বিষয়ে তাদের সাথে কথা বলব।


সর্বশেষ সংবাদ