শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে আইইআরের বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা চান শিক্ষামন্ত্রী

জাতীয় সিম্পোজিয়ামে অতিথিরা
জাতীয় সিম্পোজিয়ামে অতিথিরা  © টিডিসি ফটো

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন এবং শিক্ষাক্রম বিষয়ে সাধারণ মানুষের গতানুগতিক মানসিকতা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা কামনা করেছেন। রবিবার (৩ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত সিম্পোজিয়ামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট-এর উদ্যোগে রিসার্চ এন্ড ইনোভেশন ফর সোশ্যাল ইম্প্যাক্ট: আইইআর’স রিসেন্ট কন্ট্রিবিউশন টু এডুকেশন’ শীর্ষক দিনব্যাপী এক জাতীয় সিম্পোজিয়াম ইনস্টিটিউটের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. এম অহিদুজ্জামান বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হালিম স্বাগত বক্তব্য দেন।

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, দেশে দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি এবং জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে ইতোমধ্যেই নতুন শিক্ষাক্রম চালু করা হয়েছে। এই নতুন শিক্ষাক্রম শিক্ষাদান পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আরও বেশি শিখতে পারবে এবং তাদের সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটাতে পারবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

মন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমাদের সমাজে, সংস্কৃতিতে গতানুগতিক যে মানসিকতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেটা ভাঙ্গতে সকলের সহযোগিতা লাগবে, বিশেষ করে শিক্ষা বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা লাগবে এবং যত বেশি এইটা আমরা সমাজের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবো যে আমাদের বিদ্যালয়ে এগারো-বারো বছর বয়সে মেধার পরিচয় দিতে হবে, এ ধরনের মানসিকতা থেকে যাতে আমরা বের হয়ে আসতে পারি এজন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন আছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এই বিষয়ে কঠোর অবস্থানে আছেন। তিনি বলেছেন আমাদের শিক্ষার্থীদের শিখতে শেখার যাতে সুযোগ করে দেই। শুধু চাপ দিয়ে তাদের যে মানসিক প্রসারে রাখছি এতে করে সৃষ্টিশীলতা হচ্ছে না।

তিনি বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা এই তিন বিভাগে বর্তমান অর্থ মন্ত্রণালয়ের বাজেট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৮৮ হাজার কোটি টাকা যা ২০০৬-৭ সালে সারা বাংলাদেশে যে বাজেট বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল তা ছিল ৬৬ হাজার কোটি টাকা অর্থাৎ তিনটি বিভাগের বাজেট এ বাজেট থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা বেশি।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence