মল চত্বরের ডিজাইনে পরিবর্তন আসছে, জানালেন ঢাবি ভিসি

মল চত্বর
মল চত্বর  © ফাইল ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জনপ্রিয় চত্বরের মধ্যে একটি মল চত্বর। দিন-রাতে সব সময় শিক্ষার্থীরা সেখানে আড্ডা দেয়। গাছে ঘেরা এই অংশটুকু শিক্ষার্থীদের প্রিয় জায়গা। কিন্তু ঢাবির শতবর্ষপূর্তি ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর স্মৃতি হিসেবে মল চত্বরে নির্মাণ করা হচ্ছে একটি সেনটেনারি মনুমেন্ট (শতবার্ষিক স্মৃতিস্তম্ভ)। ৭০ ফুট দৈর্ঘ্য, ৩০ ফুট প্রস্থ এবং ২৫ ফুট উচ্চতার এই স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের জন্য এরই মধ্যে অনেক গাছের শিকড় কাটা পড়েছে। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করছেন প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা।  

সম্প্রতি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল জানিয়েছেন, মল চত্বরে বর্তমানে আর্কিটেকচারাল ডিজাইন বা ল্যান্ডস্ক্যাপ এটি ব্যক্তিগতভাবে আমার খুব একটা জানা ছিল না। উপাচার্য হওয়ার পর আমি জানার চেষ্টা করেছি। আমি, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) এবং ট্রেজারারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং ডিভিশনকে নিয়ে ইতোমধ্যে স্থানটি পরিদর্শন করেছি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের মল চত্বরের শতবর্ষ মনুমেন্ট যে ডিজাইন সেটার সংস্কার করা হচ্ছে। এটা একটা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হয়েছে। আমরা বাংলাদেশ আর্কিটেকচারাল অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে এই ডিজাইন করেছি। কংক্রিট দিয়ে মোড়ানো মল চত্বর যেন না হয় এ বিষয়ে ইতোমধ্যে দায়িত্ব দিয়েছি। আগামী সপ্তাহে আমরা পরিবর্তিত চিত্রটি পাবো। আমরা বুঝতে পারবো তখন বিষয়টি কোনদিকে যাবে এবং কবে নাগাদ শেষ হবে।

আগের যে সবুজায়ন যেন থাকে উল্লেখ করে উপাচার্য  বলেন, শিক্ষার্থীরা যেন ঘুরে বেড়াতে পারে সে ব্যবস্থা করা হবে। আমার ধারণা পরিবর্তিত যে নকশা হবে সেখানে নতুন বৃক্ষলতা রোপণ করা হবে, আমাদের আরবারি কালচার সেন্টার এটা দেখবে। মল চত্বরের এই কাজে বস্তুত কোনো গাছ কাটা হয়নি দাবি করে উপাচার্য  বলেন, আমরা মল চত্বরকে আরও সুন্দরভাবে উপস্থাপন করবো।

উল্লেখ্য, মল চত্বরে এই মনুমেন্ট তৈরির পেছনে খরচ হচ্ছে ২১ কোটি টাকা। ৫৬টি স্থাপত্য প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে একটি উন্মুক্ত প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ‘নিন আর্কিটেক্টস’ এই মনুমেন্টের নকশা প্রণয়ন করে। ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর মনুমেন্ট তৈরির কাজের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। ২০২৩ সালের জুন মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার পরিকল্পনা থাকলেও পরে সেটি ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence