বুদ্ধিমত্তা ও বিবেকবোধ নিয়ে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে: ঢাবি উপাচার্য

বক্তব্য দিচ্ছেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান
বক্তব্য দিচ্ছেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান  © সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান মানুষের বুদ্ধিমত্তা, নৈতিকতা, মানবিকতা ও বিবেকবোধের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, জ্ঞানভিত্তিক ও প্রযুক্তি নির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে মানবজীবন যেন হুমকীর সম্মুখীন না হয় সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সকলকে সচেতন থাকতে হবে। শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে দু’দিনব্যাপী ‘৬ষ্ঠ বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াড’র উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। দেশের স্কুল ও কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রোবটিক্স এন্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক যৌথভাবে এই অলিম্পিয়াড আয়োজন করে। 

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াডের সভাপতি অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রোবটিক্স এন্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারপার্সন ড. সেঁজুতি রহমান বক্তব্য দেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজ্ঞান মনস্ক প্রজন্ম তৈরির মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত, সমৃদ্ধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ বিনির্মাণের যে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে চলেছেন সেক্ষেত্রে দক্ষ তরুণ প্রজন্মই হবে মূল চালিকাশক্তি।

বিজ্ঞান মনস্ক প্রজন্ম গড়ে তুলতে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের তথ্য ও প্রযুক্তির সঠিক ও পরিমিত ব্যবহারের উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি আরও বলেন, প্রযুক্তি ব্যবহারের পাশাপাশি সন্তানদের সৃজনশীল কাজের সাথে সম্পৃক্ত করতে অভিভাবকদের নজরদারি বাড়াতে হবে। নতুন নতুন উদ্ভাবন ও আবিস্কারের মাধ্যমে প্রযুক্তিকে মানবকল্যাণে ব্যবহারের জন্য উপাচার্য শিক্ষক, গবেষক, শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।

আরো পড়ুন: রোবট এখন বিলাসী নয়, স্মার্টফোনের মতই প্রয়োজনীয়: পলক

জুনাইদ আহমেদ পলক রোবট ব্যবহারের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, রোবট এখন আর বিলাসী পণ্য নয়। কৃষি ও শিল্পখাতের উন্নয়ন, অগ্নিকাণ্ড ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে রোবটের ব্যবহার ও প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশে প্রাকৃতিক সম্পদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির মাধ্যমে সকল সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা দেশকে উন্নত বিশ্বের কাতারে নিয়ে যাচ্ছি।

এক্ষেত্রে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবটিক্স, মাইক্রোচিপ ডিজাইনিং এবং সাইবার সিকিউরিটির বিষয়গুলোকে আমাদের আয়ত্তে আনতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জ্ঞান-বিজ্ঞানে দেশকে এগিয়ে নিতে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের সার্বিক সহযোগিতা, পরিচর্যা ও মেধা বিকাশে শিক্ষক ও অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসতে হবে।

উল্লেখ্য, জাতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত দু’দিনব্যাপী এই অলিম্পিয়াডে দেশের বিভিন্ন স্কুল ও কলেজ থেকে এক হাজারের বেশি নিবন্ধিত শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছে।


সর্বশেষ সংবাদ