জাবিতে ছাত্রলীগ নেতার মারধরের শিকার হয়ে হল ছাড়লেন ১৫ কর্মী
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:৪১ PM , আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:০৮ PM
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মওলানা ভাসানী হলে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মারধরের শিকার হয়ে ১৫ শিক্ষার্থী হল ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন। ভুক্তভোগীরা সবাই তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
মাওলানা ভাসানী হলের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত ২১১, ২১২, ২১৩ ও ২১৭ নম্বর কক্ষে থাকতেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ আগস্ট রাতে মওলানা ভাসানী হলের ছাত্রলীগের দুই কর্মীর মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয় একটি অটোরিকশা। এতে মোটরসাইকেলে থাকা একজন মাথায় আঘাত পান। এছাড়া মোটরসাইকেলটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ সময় ওই দুই ছাত্রলীগ কর্মী হলের বন্ধুদের ডেকে অটোরিকশাটি আটক করে চালকের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। পরে অটোরিকশার মালিক জাবির এস্টেট অফিসের কর্মকর্তা মো. খাইরুল ঘটনাটি মওলানা ভাসানী হলের ছাত্রলীগ নেতাদের জানান।
এ ঘটনায় ভাসানী হলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিহান নিবিড় জুনিয়র কর্মীদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। একপর্যায়ে, তিনি এক কর্মীকে মারধর করেন। পরে এ ঘটনায় ছাত্রলীগের ১৫ কর্মী তাদের কক্ষ ছেড়ে দেন। এরপর থেকে তারা আর ওই হলের কোনো কক্ষে ওঠেননি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভুক্তভোগী একাধিক শিক্ষার্থী জানান, এর আগেও হলের এক নেতা তাদের একজনকে মারধর করেছেন। এখন আমরা তৃতীয় বর্ষে পড়ি, এ বয়সে এসে যদি রাজনীতি করে নেতাদের কাছে মার খেতে হয় তাহলে রাজনীতি করে কী লাভ? তাই আমরা হল ছেড়েছি।
অটোরিকশার মালিক নন জানিয়ে এস্টেট অফিসের কর্মকর্তা মো. খাইরুল বলেন, অটোরিকশা বিপদে পড়ে আমাকে বিষয়টি জানিয়েছিল। তখন আমি ভাসানী হলে গিয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে দুর্ঘটনার জন্য ক্ষমা করে দিতে বলি। এরপর কি হয়েছে সেটি আমি জানি না।
জুনিয়রদের মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে নিহান নিবিড় বলেন, হলে অনেক সময় সিনিয়র-জুনিয়রদের মধ্যে মান-অভিমান হয়ে থাকে। হয়তো সেই অভিমান থেকে তারা কক্ষ ছেড়ে দিয়েছেন। আমি তাদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করব।
মওলানা ভাসানী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক হোসাইন মোহাম্মদ সায়েম বলেন, হলে ছাত্রলীগ কাউকে মারধর করেছে কিনা আমার জানা নেই। আর কোন কক্ষ ফাঁকা থাকলে সেখানে দ্রুত গণরুম থেকে শিক্ষার্থীদের উঠানো হবে।