গলায় ফাঁস নিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:৪১ PM , আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০১ AM
গলায় ফাঁস দিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ছাত্রী কাজী সামিতা আশকা আত্মহত্যা করেছেন। আজ শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী আমবাগান এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করেন সহপাঠীরা।
এরপর সাভারের এনাম হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে৷ সমিতা আশকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও বেগম খালেদা জিয়া হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার সদর উপজেলায়৷
<span;>আশকার সহপাঠীরা জানায়, আশকা আমবাগান এলাকায় দ্বিতীয় বর্ষের(৫০ ব্যাচ) চারজন জুনিয়রের সাথে বাসা ভাড়া করে থাকতেন। ঘটনার সময় তার রুমমেটরা কেউই বাসায় ছিলেন না৷ আশকার বন্ধু শাহরিয়ার জামান তুর্য খুলনা থেকে মোবাইল ফোনে জানালে ঘটনাস্থলে ছুটে যান রুমমেট ও সহপাঠীরা। এরপর রুমে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ অবস্থায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে সিলিংয়ের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তারা। সহপাঠীরা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আশকার রুমমেট শর্মী ও মাইশা জানান, আমরা আজকে কেউই বাসায় ছিলাম না। মাইশা সন্ধ্যার কিছু আগে বাসা থেকে বের হওয়ার সময় আশকাকে তার বন্ধু তূর্যেরর সাথে ভিডিও কলে ঝগড়া করতে দেখেন। পরে রাত সাড়ে আটটায় তূর্য আশকার বান্ধবী সামিহাকে ফোন করে দ্রুত বাসায় যেতে বলে। বাসায় গিয়ে তারা রুমের দরজা বন্ধ দেখতে পান৷ এরপর বাইরে থেকে দরজা ভেঙে তারা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে আসেন। পরে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে সাভারের এনাম হাসপাতালের পাঠানোর কথা বলেন।
প্রাথমিকভাবে আশকার বন্ধু শাহরিয়ার জামান তূর্যের সাথে ঝামেলার কারনে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন বলে জানা যায়। আশকার বন্ধু শাহরিয়ার জামান তূর্য খুলনার নর্থ ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তিনি জানান, আশকার সাথে আমার তেমন কোনো ঝগড়া হয়নি৷ ওর সাথে ভিডিও কলে কথা বলছিলাম। পরে হঠাৎ করে কল কেটে যায়। পরে আর তাকে না পেয়ে আমি ওর বন্ধুদের বাসায় যেতে বলি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হোসনে আরা বেবী বলেন, আমাকে শিক্ষার্থীরা ফোন করে দ্রুত একটা এম্বুলেন্স জোগাড় করে দিতে বলে। কিন্তু তারা আমাকে আত্মহত্যার কথা জানায়নি৷ পরে আমরা হাসপাতালে এসে জানতে পারি যে আশকা আত্মহত্যা করেছে।
এনাম হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা.অর্ণব বলেন, আমাদের এখানে তাকে রাত সাড়ে নয়টায় নিয়ে আসা হয়। ইসিজি রিপোর্ট দেখে আমরা বুঝতে পারি অন্তত এখানে আনার আধাঘন্টা পূর্বে তার মৃত্যু হয়েছে। এটা যেহেতু অস্বাভাবিক মৃত্যু, পুলিশ সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করার পর আমরা মৃতদেহ পরিবারকে বুঝিয়ে দিব।
সাভার থানার দায়িত্বরত উপ-পরিদর্শক আল মামুন কবির বলেন, প্রাথমিকভাবে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা বলে শনাক্ত করেছি। বন্ধুর সাথে ঝগড়ার কারণে সে আত্মহত্যা করতে পারে বলে জানতে পেরেছি। সাক্ষী এবং সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে আমরা পরিবারকে মৃতদেহ বুঝিয়ে দিতে পারব।