প্রভোস্টকে হুমকির জেরে চবির মূল ফটক অবরোধ
- চবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১০ মে ২০২৩, ১০:২৩ PM , আপডেট: ২০ আগস্ট ২০২৫, ১০:৪৮ AM
সন্ধ্যার পরে হল প্রাঙ্গণ পরিদর্শনকালে প্রভোস্টকে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) মূল ফটক অবরোধ করেছেন হলটির শিক্ষার্থীরা। এর আগে চবির সূর্যসেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. এএইচএম রায়হান সরকারকে বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক ছাত্র হুমকি দেন এবং খারাপ আচরণ করেন। ঘটনার তাৎক্ষণিক প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক প্রতিবাদ জানান শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১০ মে) রাত সাড়ে আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক আটকে দেয় শিক্ষার্থীরা। এর আগে রাত আটটার দিকে সূর্যসেন হল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ওই শিক্ষার্থীর নাম সুরজিৎ বড়ুয়া। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হল প্রভোস্ট সন্ধ্যার পর সূর্যসেন হল এলাকা পরিদর্শনে বের হয়েছিলেন। এসময় তিনি হলের বাইরের শিক্ষার্থীদের হলের আশেপাশের এলাকা থেকে সরিয়ে দিচ্ছিলেন। তখন অভিযুক্ত সুরজিৎ বাইক নিয়ে হলের দিকে যাওয়ার সময় তাকে আটকানোর চেষ্টা করেন প্রভোস্ট। এসময় অভিযুক্তের বাবাও বাইকের পেছনের সীটে ছিলেন। কিন্তু সুরজিৎ প্রভোস্টের ইশারা অমান্য করে বাইক নিয়ে হলের দিকে চলে যান৷
সেদিক থেকে ফেরার পথে প্রভোস্ট তাকে আবারো আটকালে সুরজিৎ প্রভোস্টের সাথে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন। এমনকি প্রভোস্টের পরিচয় পাওয়ার পরেও থামেনি ওই শিক্ষার্থী। এসময় বাইকের পেছনে থাকা অভিযুক্তের বাবা তাকে থামানোর চেষ্টা করলেও সে মানেনি। এসময় সুরজিৎ প্রভোস্টকে গুলি করে মারার হুমকিও দেন।
এদিকে এ ঘটনার পর সূর্যসেন হলের শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে মূল ফটক আটকে দেন। অন্য একদল শিক্ষার্থী অভিযুক্তের পিছু নিয়ে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নাম্বার গেইট এলাকা থেকে ধরে জিরো পয়েন্ট পুলিশ বক্সে নিয়ে আসেন। এরপর হলের শিক্ষার্থীদের দাবিতে অভিযুক্ত ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডির সামনে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. এএইচএম রায়হান সরকারের পায়ে ধরে ক্ষমা চাইলে প্রভোস্ট তাকে ক্ষমা করে দেন। পরে রাত সোয়া নয়টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ফটক খোলে দেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. মো. আহসানুল কবীর বলেন, সূর্যসেন হলের প্রভোস্টকে হেনস্তা করায় শিক্ষার্থীরা ফটক অবরোধ করেছিলেন। পরে অভিযুক্ত ওই শিক্ষার্থী প্রভোস্টের পায়ে ধরে ক্ষমা চাইলে প্রভোস্ট তাকে ক্ষমা করে দেন। এরপর শিক্ষার্থীরা ফটক খুলে দেন। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে।