বঙ্গসভা পুরস্কার পেলেন ৪০ জন সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী ও গবেষক 

  © টিডিসি ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বঙ্গসভা পুরস্কার -২০২৩ সংবর্ধনা পেয়েছেন ৪০ জন সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী ও গবেষক। শিক্ষা, সাহিত্য, সমাজসেবা, গবেষণা সহ বিভিন্ন গবেষণায় বিশেষ অবদানের জন্য এই ৪০ জনকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

আজ বুধবার (৮ মার্চ ) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার মিলনায়তনে বঙ্গসভা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শাখার উদ্যোগে '৭ই মার্চের বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের তাৎপর্য আলোচনা ও গুণীজন সংবর্ধনা' অনুষ্ঠানের আয়োজনের মাধ্যমে গুণীজনদের ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট দিয়ে সম্মাননা দেওয়া হয়।

ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও গুণীজন সংবর্ধনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম শাহনেওয়াজ, বঙ্গনিউজ এর সম্পাদক ও চেয়ারম্যান অধ্যাপক লুৎফর রহমান জয়, নাসায় কর্মরত পরমাণু বিজ্ঞানী ফয়জুর রহমান আল সিদ্দিক, পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের ডিআইজি শামীমা বেগম, অধ্যাপক ইসলাম সাইফুল প্রমুখ।

আরও পড়ুন: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ কুবি ছাত্রলীগের, পাশে পুলিশ

গুণীজন সম্মাননা পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে, 'আত্মজাগরণ' বইয়ের জন্য শামছুন নাহার রেহানা, 'বলবো বলে' বইয়ের জন্য শামস মনোয়ার, 'প্রেম বিলাসী' বইয়ের জন্য ইসমাইল হোসেন স্মিথ, 'মুদ্রিত স্বপ্নের কোলাজ' বইয়ের জন্য হাসান কল্লোল, 'প্রেম তুই' বইয়ের জন্য আবৃতিশিল্পী মুনা চৌধুরী, লেখক ও গীতিকার ইমাম সিকদার, প্রায় ৪০ হাজার গান লেখার জন্য এম রহমান রানা, তরুণ সাংবাদিক নাজমুস সাকিব রহমান, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার জমিরউদ্দীন মিলন, মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট মেহেরুন্নেছা মেহরিন, 'যেখানে শয়তান সেখানে ইশ্বর' বইয়ের জন্য ফারহানা আকতার, ডা. খোরশেদ আলম, 'হৃদয়ের বাতিঘর' বইয়ের জন্য মোজাফফর বাবু, 'রোদ্দুরের প্রতিক্ষায়' বইয়ের জন্য ডা খালেদ মোশাররফ, 'বঙ্গবন্ধু আমার ভিটেমাটি' বইয়ের জন্য ফারহানা ইয়াসমিন, 'স্বাধীন ভাষায় স্বাধীন জাতি' বইয়ের জন্য রওনকা আফরোজ, 'বৈচিত্র্যময় কানাডা' বইয়ের লেখক ননী গোপাল দেবনাথ, 'বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ' বইয়ের জন্য অধ্যক্ষ ড সুমন কুমার পান্ডে, 'বৃহন্নলাদের জীবন' বইয়ের জন্য শোভা চৌধুরী, বাংলা ভাষায় গবেষণার জন্য বাংলাদেশ প্রতিদিনের সাংবাদিক মোস্তফা মতিহার, অ্যাডভোকেট তানজিনা ফেরদৌস, বাংলা শব্দ বলার কৌশলের আবিষ্কারক মাহবুবুল আলম, শাহনেওয়াজ দিলরুবা খান, এ এম জামান, রোজিনা মাহমুদ, নন্দিনী লুইজার, পমজনু বিসদ, অতিরিক্ত সচিব আতাউর রহমান কানন, ফারহানা রুমিন, মুসফিরাতুন পাখি উল্লেখযোগ্য। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আবু নাঈম শেখ বলেন,আমি আহ্বান করবো আমরা সবাই যেন বারবার বঙ্গবন্ধুর ৭ ই মার্চের ভাষণ পড়ি। তাহলে বুঝবো, এর মধ্যেই সোনার বাংলা গড়ার সব তথ্য আছে। এটাকে নিয়ে অনেকগুলো পিএইচডি করা যেতে পারে। তাই , আপনারা বঙ্গবন্ধুর ভাষণ পড়ুন এবং জীবনে তার প্রয়োগ করুন।

সভাপতির বক্তব্যে ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, আপনারা আজকের অবস্থাকে কল্পনা করুন। যদি এখনো আমরা পাকিস্তানের অংশ হতাম, আমাদের রাষ্ট্রভাষা উর্দু হতো! এসব যখন ভাবতে পারবো তখনই আমরা বঙ্গবন্ধুর ভাষণের গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারবো। আজকের গুণীজনরা বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে পরিচিত করতে চেষ্টা করেছেন বলেই আমাদের পক্ষ থেকে তাদেরকে সম্মানিত করতে এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। শিক্ষা, সাহিত্য, সমাজসেবা, গবেষণা সহ বিভিন্ন গবেষণায় বিশেষ অবদানের জন্য এই ৪০ জনকে আমাদের কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন করেছি এবং আজকে সংবর্ধনা প্রদান করতে পেরে আমরা আনন্দিত।

উল্লেখ্য, বঙ্গসভা কেন্দ্রীয় পরিষদ  দুই বছর পরপর গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সম্মাননা প্রদান করে। বিভিন্ন লেখক, গবেষকদের মেধা মননকে যারা কাজে লাগিয়ে বিশ্বে বাংলাদেশের মর্যাদা তুলে ধরে তাদেরকে ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট দিয়ে সংবর্ধনা প্রদান করে থাকে।


সর্বশেষ সংবাদ