ইউজিসির চেয়ারম্যান পদে আলোচনায় তিন অধ্যাপক

অধ্যাপক মো. আকতার হোসেন খান, এবিএম শহিদুল ইসলাম ও এ এফ এম ইউসুফ হায়দার এবং ইউজিসির লোগো।
অধ্যাপক মো. আকতার হোসেন খান, এবিএম শহিদুল ইসলাম ও এ এফ এম ইউসুফ হায়দার এবং ইউজিসির লোগো।  © সম্পাদিত

দেশের উচ্চশিক্ষার তদারক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগের উদ্যোগ শুরু হয়েছে। সংস্থাটির বর্তমান সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ’র পদত্যাগের পর এ পদটি ফাঁকা হয়। ফলে দেশের উচ্চশিক্ষার এ তদারক প্রতিষ্ঠানের কাজের গতি এবং শৃঙ্খলা ফেরাতে এ পদে নিয়োগের উদ্যোগ শুরু করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টার কার্যালয়ের তথ্য মতে— ইউজিসির চেয়ারম্যান পদে নিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে দুই অথবা তিনজন অধ্যাপকের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে ইউজিসির শীর্ষ কর্তা হিসেবে। অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের কাছে এ নামগুলো প্রস্তাবনা আকারে রয়েছে।

দেশের উচ্চশিক্ষার তদারক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) কাজে গতি ফেরাতে দ্রুতই চেয়ারম্যান নিয়োগের কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার।

এর আগে দেশের শিক্ষার সাম্প্রতিক বিষয়গুলো নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তখন তিনি বলেছেন—উপাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে যোগ্যদের খুঁজে দায়িত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান আছে। 

তিনি বলেন, ‘আমার কাছে শত শত সুপারিশ আসছে নানা দিক থেকে। আমি আমার মতো যোগ্য, যাদের পদায়ন করা যায়, বিভিন্নভাবে খোঁজার চেষ্টা করছি। আশা করি যে অচিরেই আমরা অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ দিতে পারব। আবার ইউজিসির চেয়ারম্যানের পদও শূন্য হয়ে আছে। সেটার জন্য বেসরকারি খাতের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে পরিচালনার ক্ষেত্রে একটা অভিভাবকশূন্যতা দেখা দিয়েছে। এখানে আমরা অতি দ্রুত সবার কাছে গ্রহণযোগ্য দু–একজন মানুষকে নিয়োগ দেওয়ার প্রস্তাব করছি।’

আরও পড়ুন: ‘এখনই সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের অর্ডার করতে হবে’— ১৬ জুলাই ইউজিসিকে নির্দেশ দেন নওফেল

শিক্ষা উপদেষ্টার কার্যালয়ের একটি সূত্রের তথ্য মতে—ইউজিসির চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগের দৌঁড়ে আলোচনায় রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষক এবং বর্তমানে বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত এবং প্রাকৃতিক বিজ্ঞান বিভাগে থাকা অধ্যাপক ড. এ এফ এম ইউসুফ হায়দার; ঢাবির মৃত্তিকা, পানি এবং পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আখতার হোসেন খান এবং একই উচ্চশিক্ষালয়ের মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এবিএম শহিদুল ইসলাম। তবে এর মধ্যে ড. এবিএম শহিদুল ইসলামের পদায়ন নিয়ে জোর গুঞ্জন রয়েছে।

কার্যত চেয়ারম্যানশুন্য ইউজিসিতে কাজের গতি ফেরানো এবং দেশের উচ্চশিক্ষালয়গুলোয় সার্বিক কার্যক্রম দ্রুতই স্বাভাবিক করতে এ পদের নিয়োগে অগ্রাধিকার রয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের। এর বাইরেও সাবেক একজন ঢাবি উপাচার্যের নামও শোনা যাচ্ছে ইউজিসির এ পদের জন্য। 

ইউজিসির চেয়ারম্যান পদে নিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে দুই অথবা তিনজন অধ্যাপকের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে ইউজিসির শীর্ষ কর্তা হিসেবে।

ছাত্র-জনতার বিপ্লবে আওয়ামী সরকারের পতনের পর একপ্রকার ভেঙ্গে পড়ে বাংলাদেশের সার্বিক প্রশাসনিক কাঠামো। দলীয় সরকারের আস্থাভাজন এবং সহায়তায় নিয়োগ পাওয়া অনেকেই এর মধ্যে পদ ছেড়েছেন অথবা পালিয়ে গিয়েছেন। ফলে ব্যাহত হচ্ছে এমন প্রতিষ্ঠানগুলোর সেবা ও অন্যান্য কার্যাবলি। 

বিগত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর দায়িত্ব গ্রহণ করে অন্তবর্তীকালীন সরকার। তারা এখন আবারও নতুন করে ভেঙ্গে পড়া এসব কাঠামো গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন। এর মধ্যে অন্যতম দেশের উচ্চশিক্ষার তদারক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। ফলে দেশের উচ্চশিক্ষার এ তদারক প্রতিষ্ঠানের কাজে গতি ফেরাতে দ্রুতই চেয়ারম্যান নিয়োগের কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার।

আরও পড়ুন: ছাত্রদল নেতাদের নেতৃত্বে ইউজিসিতে ‘ক্যু’, সচিবকে অপসারণ

এর আগে আওয়ামী সরকারের পতনের পর পদত্যাগ করেন ইউজিসির সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহিদুল্লাহ। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছিলেন ইউজিসির দুইবারের দায়িত্ব পাওয়া এ চেয়ারম্যান। যদিও শারীরিক অসুস্থতার কারণে খুব বেশি অফিস করতে পারেননি তিনি। ফলে তার মেয়াদকালের অধিকাংশ সময়েই দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে সংস্থাটির অন্য সদস্য এবং কর্মকর্তাদের।


সর্বশেষ সংবাদ