জিমেইল অ্যাকাউন্ট নিরাপদ রাখার ৬টি উপায় জেনে নিন
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ১১:২৬ AM , আপডেট: ১৬ জুন ২০২৫, ০৫:৩৩ PM

অনলাইনে ফাইল সংরক্ষণ, ম্যাপ ব্যবহার বা ছবি রাখার মতো বহু গুরুত্বপূর্ণ কাজে জিমেইল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে হয়। ফলে জিমেইল অ্যাকাউন্ট হ্যাকড হলে ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য, যোগাযোগ, আর্থিক লেনদেন ঝুঁকির মুখে পড়ে। তবে কিছু নিরাপত্তাব্যবস্থা মেনে চললে এ ধরনের ঝুঁকি অনেকটাই এড়ানো সম্ভব। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক জিমেইল অ্যাকাউন্ট নিরাপদ রাখার উপায়গুলো।
শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার
জিমেইল অ্যাকাউন্টের সুরক্ষায় সবার আগে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। তাই নাম, জন্মতারিখ বা সহজ শব্দের পরিবর্তে ছোট–বড় হাতের অক্ষর, সংখ্যা ও বিশেষ চিহ্ন মিলিয়ে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড তৈরি করতে হবে। প্রতিটি অ্যাকাউন্টের জন্য আলাদা পাসওয়ার্ড ব্যবহার করাই নিরাপদ।
টু স্টেপ ভেরিফিকেশন চালু
আপনি যদি চান যে আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্টটি কখনোই হ্যাকড না হোক, তাহলে অবশ্যই আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্টে টু স্টেপ ভেরিফিকেশন চালু করে রাখতেই হবে। টু স্টেপ ভেরিফিকেশন হলো এমন একটি সিকিউরিটি সিস্টেম যেটির মাধ্যমে হ্যাকার আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড জানলেও আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্টের অ্যাকসেস নিতে পারবে না। টু স্টেপ ভেরিফিকেশন হলো যখন আপনি আপনার জিমেইলে সঠিক পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করতে যাবেন, তখন আপনার সেট করা নম্বরে একটি ছয় সংখ্যার কোড আসবে, সেটি দিতে পারলেই কেবল আপনি আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্টের অ্যাকসেস নিতে পারবেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত ইউনিসেফের ১১৭৯ কর্মী চাকরি হারালেন
অপ্রয়োজনীয় যন্ত্র থেকে সাইন আউট
অনেকেই পুরোনো ফোন, ট্যাবলেট বা অন্য কারও কম্পিউটার থেকে জিমেইল অ্যাকাউন্টে লগইন করেন। কাজ শেষে সাইন আউট করেন না। এতে নিজের অজান্তেই অ্যাকাউন্ট হ্যাকড হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই মাসে অন্তত একবার লগইন করা যন্ত্রগুলো যাচাই করে অপ্রয়োজনীয় বা অচেনা যন্ত্র থেকে জিমেইল অ্যাকাউন্ট সাইন আউট করতে হবে। জিমেইল অ্যাকাউন্টে লগইন করা প্রতিটি যন্ত্রের তালিকা গুগল নিজেই সংরক্ষণ করে। তাই ‘ইউর ডিভাইসেস’ অপশন থেকে অ্যাকাউন্টে লগইন করে অপরিচিত যন্ত্র থেকে জিমেইল অ্যাকাউন্ট সাইন আউট করতে হবে।
অ্যাপের অপ্রয়োজনীয় অনুমতি বাতিল
অনেকেই বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা অ্যাপে ‘সাইন ইন উইথ গুগল’ অপশন ব্যবহার করেন। কিন্তু কিছুদিন পর এসব অ্যাপ আর ব্যবহার করা হয় না। ফলে গোপনে সেই অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে পারে হ্যাকাররা। এ সমস্যা সমাধানে জিমেইল অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সাইন ইন করা অ্যাপের অপ্রয়োজনীয় অনুমতি বাতিল করতে হবে।
আরও পড়ুন: সরকার ৩৩ প্রকল্পের ব্যয় কমালো ৪৬ হাজার কোটি টাকা
অপরিচিত লিংকে ক্লিক না করা
ফিশিং বা প্রতারণামূলক লিংক হলো হ্যাকারদের সবচেয়ে পুরোনো, কিন্তু কার্যকর অস্ত্র। তাই কোনো সন্দেহজনক ই-মেইল বা বার্তায় লিংক দেওয়া থাকলে তাতে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহারের সময় ভিপিএন ব্যবহার
পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহারের সময় ভার্চ্যুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক বা ভিপিএনের সাহায্যে তথ্য নিরাপদ রাখা সম্ভব। কারণ, ভালো মানের ভিপিএনে ব্যবহারকারীদের তথ্য কোড যুক্ত বা এনক্রিপ্ট করে বিনিময় করা হয়। এ কারণে সহজে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করতে পারে না হ্যাকাররা। তাই জিমেইল অ্যাকাউন্ট নিরাপদ রাখতে পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহারের সময় ভিপিএন ব্যবহার করতে হবে।