উত্তপ্ত পলিটেকনিক অঙ্গন: ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের প্রমোশন নিয়ে ‘বিভ্রান্তি’

ছয় দফা দাবিতে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা
ছয় দফা দাবিতে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা  © সংগৃহীত

ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের পদোন্নতির সিদ্ধান্ত বাতিলসহ ৬ দফা দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা। তবে কারিগরি শিক্ষাখাতে চলমান আন্দোলনকে ঘিরে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের। আন্দোলনকারীদের একটি বড় অংশ ডিপ্লোমা সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে ১০ম গ্রেডের কোটা রক্ষার দাবিতে মাঠে নামলেও, প্রমোশনসংক্রান্ত আদালতের রায়ের বাস্তব চিত্র তাদের জানানো হয়নি বলে অভিযোগ পক্ষটির।

ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের অভিযোগ, আদালতের রায়ে কোথাও ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে সরাসরি ৩০ শতাংশ পদোন্নতির কথা উল্লেখ নেই। বরং টেক ও নন-টেক উভয় ক্ষেত্রেই নিজ নিজ বিষয়ভিত্তিক উচ্চতর পদে পদোন্নতির কথা বলা হয়েছে। এমনকি যে-সব পদে পদোন্নতি সম্ভব নয়, সেসব ক্ষেত্রে নতুন পদ সৃষ্টি করে প্রমোশনের সুযোগ দেওয়ারও নির্দেশ রয়েছে আদালতের রায়ে। যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও গত ৫০ বছরে এ পদে কোনো প্রমোশন দেওয়া হয়নি। তাই দীর্ঘদিনের বঞ্চনার অবসান ঘটাতে তারা আইনগত পথে হেঁটেছেন। বর্তমানে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টর পদের বিপরীতে ৯৫০-এর অধিক বিএসসি বা ডিপ্লোমাধারী এবং সমান সংখ্যক পদার্থ ও রসায়ন বিষয়ে স্নাতক উত্তীর্ণ প্রার্থী রয়েছেন। 

আরও পড়ুন: দাবি মানতে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

তাদের দাবি, ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের শিক্ষাগত যোগ্যতাকে ভুলভাবে উপস্থাপন করে ছাত্রদের বোঝানো হয়েছে যে, ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের প্রমোশন হলে জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে ছাত্রদের চাকরির সুযোগ কমে যাবে। এমন প্রেক্ষাপটে আইনি প্রক্রিয়া না মেনে জনমত গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে ‘মব’ সিস্টেমের আশ্রয় নিয়েছে আন্দোলনকারীরা। অভিযোগ করে তারা বলেন, ২০১৩ সালেও এ ধরনের কৌশল অবলম্বন করে ১০ম গ্রেড শুধুমাত্র ডিপ্লোমা উত্তীর্ণদের জন্য বরাদ্দ করে নেওয়া হয়েছিল।

জানা যায়, বাংলাদেশের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে বিভিন্ন ধরনের পদে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিয়োজিত রয়েছেন। মূলত যারা শ্রেণি কার্যক্রমে সরাসরি যুক্ত, তাদের মধ্যে দুটি ধারা রয়েছে— টেক (প্রযুক্তি বিষয়ক) ও নন-টেক (সাধারণ শিক্ষা বিষয়ক)। টেক শাখার অন্তর্ভুক্ত চিফ ইনস্ট্রাক্টর (৬ষ্ঠ গ্রেড), ইন্সট্রাক্টর (৯ম গ্রেড), জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর (১০ম গ্রেড) ও ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টর (১৩তম গ্রেড)। জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর (টেক) পদে বর্তমানে ১০০ শতাংশ সরাসরি নিয়োগ দেয়া হয়। যেখানে আবশ্যিক যোগ্যতা হলো চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি। ফলে ডিপ্লোমা শেষ করলেই এই পদে নিয়োগ পাওয়া সম্ভব, তবে আগে এসএসসি (ভোকেশনাল) উত্তীর্ণরাও এ পদে নিয়োগ পেতেন।

আরও পড়ুন: সারা দেশে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের কাফন পরে গণমিছিল, বিক্ষোভ

ডিপ্লোমা উত্তীর্ণ শিক্ষকের পরিবর্তে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের এ পদে নিয়োগ দিলে শিক্ষার্থীরা আরও উন্নত হাতে-কলমে শিক্ষা লাভ করতে পারত। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, ডিপ্লোমা পাস জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টররা পাঁচ বছর পরেই ৯ম গ্রেডের ইন্সট্রাক্টর পদে প্রমোশন পেয়ে যাচ্ছেন, যা মূলত বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য বরাদ্দ। এতে ৫০ শতাংশ পদ দখল করে নিচ্ছেন ডিপ্লোমাধারীরা।

২০২৪ সালে অভিজ্ঞ ও যোগ্য ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টর (ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার) হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন (মামলা নং ৫৭২১/২৪)। শুনানি শেষে আদালত রায় দেন—জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ১০০ শতাংশ সরাসরি নিয়োগ না দিয়ে, ৫০ শতাংশ পদ ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের মধ্যে থেকে প্রমোশন দিয়ে পূরণ করতে হবে। এ রায় প্রকাশের পরই বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে একাংশ শিক্ষক এবং অদৃশ্য সিন্ডিকেট শক্তি শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করে আন্দোলনে নামিয়ে দেয়। শিক্ষার্থীদের মনে করছেন, ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টররা জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদ ‘দখল’ করতে চাইছেন।

ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের আরও অভিযোগ, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শিক্ষকতা করলেও তাদের জন্য কোনো প্রমোশন চ্যানেল নেই। ৩০-৩৫ বছর একই পদে থেকে বিদায় নিতে হয়। অন্য সব পদে একাধিক প্রমোশনের সুযোগ থাকলেও ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের জন্য কোনো সুযোগ রাখা হয়নি। তারা জানান, কারিগরি শিক্ষায় যুক্ত অন্য শিক্ষকরা অধ্যক্ষ পদ (৪র্থ গ্রেড) পর্যন্ত উঠতে পারলেও ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টররা ১৩তম গ্রেডেই আটকে থাকেন। প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে আবেদন করেও কোনো ফল না পেয়ে অবশেষে তারা আইনের আশ্রয় নেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ক্রাফট ইন্সট্রাক্টর বলেন, ২০২৪ সালে অভিজ্ঞ ও যোগ্য ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টর (ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার) হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন (মামলা নং ৫৭২১/২৪)। শুনানি শেষে আদালত রায় দেন—জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ১০০ শতাংশ সরাসরি নিয়োগ না দিয়ে, ৫০ শতাংশ পদ ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের মধ্যে থেকে প্রমোশন দিয়ে পূরণ করতে হবে। এ রায় প্রকাশের পরই বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে একাংশ শিক্ষক এবং অদৃশ্য সিন্ডিকেট শক্তি শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করে আন্দোলনে নামিয়ে দেয়। শিক্ষার্থীদের মনে করছেন, ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টররা জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদ ‘দখল’ করতে চাইছেন।

আরও পড়ুন: আলোচনায় সন্তুষ্ট নন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা, শীঘ্রই কঠোর কর্মসূচি

তিনি আরও বলেন, এ রিট শুধু টেক ব্যাকগ্রাউন্ড ও সায়েন্স ব্যাকগ্রাউন্ডের ইনস্ট্রাক্টরদের প্রমোশনের জন্য করা হয়েছে। যারা বাংলা, ইংরেজি, পদার্থ, রসায়ন পড়ান, তারা জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর (নন-টেক) পদে যেতে চান। অথচ শিক্ষার্থীদের বোঝানো হয়েছে, আমরা নাকি জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর (টেক) পদ দখল করতে চাচ্ছি। সারা দেশের প্রায় ২ হাজার ৫০০ ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টর বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, অনেক জায়গায় তারা কর্মস্থলে প্রবেশ করতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেন তিনি। 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মামলার বাদী পক্ষ জানান, ‘ক্রাফট ইন্সট্রাক্টর থেকে জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে পদোন্নতির বিষয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা স্পষ্ট। কিন্তু যুগ যুগ ধরে এই পদের শতভাগ সুবিধাভোগী সিন্ডিকেট শিক্ষার্থীদের রায়ের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে রাস্তায় নামিয়েছে। রায় না বুঝেই আন্দোলনের নামে সারা দেশে ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের ক্যাম্পাসে প্রবেশে বাধা প্রদানের মধ্যদিয়ে মৌলিক অধিকার খর্ব করা হচ্ছে। পাশাপাশি আদালতের নির্দেশনার প্রতিও তারা বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছেন। আশা করছি তারা ভুল বুঝতে পারবেন এবং যারা তাদের ব্যবহার করছে তাদের উদ্দেশ্যও বুঝতে পারবেন।’

কারিগরি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি মেসবাউল ইসলাম রিফাত বলেন, ‘আমাদের কেউ ব্যবহারের জন্য মাঠে নামায়নি। শিক্ষার্থীরা নিজেদের তাড়নায় রাস্তায় নেমেছেন। আমাদের কেউ ভুল বুঝায়নি, তারা (ক্রাফ্ট ইনস্ট্রাক্টর) আপনাদের (সাংবাদিক) এখন ভুল বোঝাচ্ছে। শুধু আপনাদের নাহ, ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদেরও ভুল বোঝাচ্ছে। একে অপরের বিপক্ষে দাঁড় করিয়ে তাদের (ক্রাফ্ট ইনস্ট্রাক্টর) স্বার্থ হাসিল করতে চাচ্ছেন।’

আরও পড়ুন: পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের যৌক্তিক সমাধানের আহ্বান

এদিকে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদোন্নতি সংক্রান্ত হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। রবিবার (২০ এপ্রিল) চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হকের একক বেঞ্চ এই আদেশ দেন। শুনানিতে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের (ডিজি) পক্ষে করা আবেদনের প্রেক্ষিতেই হাইকোর্টের রায় স্থগিত করা হয়।এ আদেশের ফলে আপাতত হাইকোর্টের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত থাকছে। 

তবে মামলাটি এখন নিয়মিত আপিল শুনানির জন্য পাঠানো হয়েছে। আগামী ১৮ মে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এই আবেদনটির শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ। অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ রাফিউল ইসলাম। অপরদিকে, রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।

প্রসঙ্গত, ৬ দফা দাবি আদায়ে গত ১৭ এপ্রিল শিক্ষা উপদেষ্টার আহ্বানে বৈঠকে বসেন আন্দোলনরত পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। তবে সেই আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায় ফের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ‍্যে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ঘোষণা না এলে ‘লংমার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দিয়েছেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। তাদের ৬ দফা দাবিগুলো হলো-

জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের অবৈধ পদোন্নতির রায় হাইকোর্ট কতৃর্ক বাতিল করতে হবে। পাশাপাশি, ক্রাফট ইন্সট্রাক্টর পদবি পরিবর্তন ও মামলার সাথে সংশ্লিষ্টদের স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করতে হবে। ২০২১ সালে রাতের আঁধারে নিয়োগপ্রাপ্ত ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের নিয়োগ সম্পূর্ণভাবে বাতিল এবং সেই বিতর্কিত নিয়োগবিধি অবিলম্বে সংশোধন করতে হবে; ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে যেকোনো বয়সে ভর্তির সুযোগ বাতিলসহ উন্নত বিশ্বের আদলে চার বছর মেয়াদি মানসম্পন্ন কারিকুলাম নিশ্চিত করে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম পরবর্তী প্রবিধান থেকে পর্যায়ক্রমিকভাবে সম্পূর্ণ ইংরেজি মাধ্যমে চালু করতে হবে ; উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও সমমান (১০ম গ্রেড) এর পদ ৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং ও মনোটেকনোলজি (সার্ভেয়িং) হতে পাসকৃত শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত থাকা সত্ত্বেও যে-সব সরকারি, রাষ্ট্রায়ত্ত, স্বায়ত্তশাসিত ও স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের নিম্নস্থ পদে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। 

আরও পড়ুন: সারাদেশে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের

এছাড়াও কারিগরি সেক্টর পরিচালনায় পরিচালক, সহকারী পরিচালক, বোর্ড চেয়ারম্যান, উপসচিব, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও অধ্যক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সকল পদে কারিগরি শিক্ষা বহির্ভূত জনবল নিয়োগ নিষিদ্ধ করতে হবে এবং তা আইনানুগভাবে নিশ্চিত করতে হবে। এই পদগুলোতে অনতিবিলম্বে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল নিয়োগ এবং সকল শূন্য পদে দক্ষ শিক্ষক ও ল্যাব সহকারী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে; কারিগরি শিক্ষায় বৈষম্য ও দুরবস্থা দূর করার পাশাপাশি দক্ষ জনসম্পদ তৈরিতে ‘কারিগরি ও উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়’ নামে স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে কারিগরি শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন করতে হবে; পলিটেকনিক ও মনোটেকনিক ইন্সটিটিউট হতে পাসকৃত শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগের লক্ষ্যে একটি উন্নতমানের টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। পাশাপাশি, নির্মাণাধীন চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে (নড়াইল, নাটোর, খাগড়াছড়ি ও ঠাকুরগাঁও) পলিটেকনিক ও মনোটেকনিক হতে পাস করা শিক্ষার্থীদের জন্য অস্থায়ী ক্যাম্পাস ও ডুয়েটের আওতাভুক্ত অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে আগামী সেশন থেকে শতভাগ সিটে ভর্তির সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।


সর্বশেষ সংবাদ