১৪তম দিনের মতো চলছে আন্দোলন

মাউশির হুঁশিয়ারির পরও দাবি আদায়ে অনড় শিক্ষকরা

মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে টানা ১৪ম দিনের মতো আন্দোলন করছেন শিক্ষকরা
মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে টানা ১৪ম দিনের মতো আন্দোলন করছেন শিক্ষকরা  © সংগৃহীত

মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে টানা ১৪ম দিনের মতো আন্দোলন করছেন শিক্ষকরা। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ চেয়ে আজ সোমবার সকাল থেকে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনকারী শিক্ষকরা।

এদিকে, আন্দোলনে থাকা শিক্ষকদের প্রতি ফের হুঁশিয়ারি দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। এরই অংশ হিসেবে গতকাল রবিবার অননুমোদিত অনুপস্থিত শিক্ষকদের তালিকা প্রতিদিন জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে এ হুঁশিয়ারি উপেক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে অনড় এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। আজ সোমবার সকাল থেকে অবস্থান নেন তারা।

এসময় আন্দোলনরত শিক্ষকরা জানান, তাদের প্রধান চাওয়া প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ৫ মিনিটের সাক্ষাৎ। এই সাক্ষাতের মধ্য দিয়েই তাদের সমস্যার সমাধান সম্ভব বলে জানান তারা। এর আগে তারা স্কুলে ফিরবেন না।

এর আগে গতকাল রবিবার দেশের সব স্কুলে অননুমোদিত অনুপস্থিত শিক্ষকদের তালিকা প্রতিদিন জানাতে নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। সারাদেশে মাউশির ৯টি আঞ্চলিক কার্যালয়ে স্ব স্ব জেলা শিক্ষা অফিসার এসব অনুপস্থিত শিক্ষকদের তালিকা জানাতে হবে বলে জারি করা এক নির্দেশে জানানো হয়েছে। 

জানা যায়, মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে রাজধানীতে টানা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষকরা। গত বুধবার শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি আন্দোলনরত শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকের পর গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল করায় গতকাল রবিবার থেকে স্কুলে স্কুলে ক্লাস শুরু হয়েছে। তবে আন্দোলনরত শিক্ষকরা ক্লাসে ফিরেননি। দাবি আদায় করে স্কুলে ফিরবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। 

এ অবস্থায় সারাদেশের স্কুলে স্কুলে ক্লাসে অননুমোদিত অনুপস্থিত থাকা সব শিক্ষকের তালিকা প্রতিদিন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) ৯টি আঞ্চলিক কার্যালয়ে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি কার্যালয় থেকে রবিবার আলাদা আলাদা নির্দেশ জারি করা হয়।

এদিকে মাউশির ঢাকা অঞ্চলের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) এ. এস. এম. আব্দুল খালেক স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয়, অননুমোদিতভাবে শিক্ষক অনুপস্থিত থাকলে তার তালিকা প্রতিদিন প্রেরণ করতে হবে। এতে আরও বলা হয়, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রধান শিক্ষক/সহকারী প্রধান শিক্ষক/সহকারী শিক্ষক উদ্বোধন কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে রবিবার অননুমোদিতভাবে অনুপস্থিত রয়েছে তাদের নামের তালিকা সোমবার সকাল ১১টার মধ্যে প্রেরণ করার জন্য নির্দেশ করা হলো। আদেশের অনুলিপি ঢাকা অঞ্চলের সকল জেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট পাঠানো হয়েছে।

আন্দোলনকারী শিক্ষক সংগঠন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদ বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষকরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে ৫ মিনিট না হলেও অন্তত ২ মিনিট সময় আশা করছেন। উনি আমাদের নির্দেশ দিবেন, আর আমরা শুনে ক্লাসরুমে ফিরে যাবো। অন্যথায় আমরা ক্লাসরুমে ফিরে যাবো না।


সর্বশেষ সংবাদ