আয়নাঘরে যে কক্ষে বন্দি ছিলেন সে কক্ষ ঘুরে দেখলেন নাহিদ-আসিফ

নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ
নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ  © ফাইল ফটো

গত বছরের জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যখন তীব্র হয়ে ওঠে, তখন সাদাপোশাকে ‘আয়নাঘরে’ তুলে নেওয়া হয় আন্দোলনের দুই শিক্ষার্থী, নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে। প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) ‘আয়নাঘর’ গোপন এই নির্যাতনকেন্দ্রে তাদের টর্চার সেলে আটক রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি। যেখানে অন্ধকার কক্ষে নিরবচ্ছিন্ন মানসিক ও শারীরিক নিপীড়নের শিকার হয়েছিলেন তারা। 

দীর্ঘদিন পর সেই একই জায়গায় ফিরে গিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা। সেখানে চোখের সামনে ভেসে ওঠে সেই নির্মম স্মৃতি। দেয়ালের প্রতিটি চিহ্ন, ঘরের গঠন, বদ্ধ বাতাস—সবই যেন সাক্ষী ছিল তাদের বন্দিত্বের। নাহিদ ও আসিফ নিশ্চিত করেছেন, এখানেই তারা আটক ছিলেন। তাদের ভাষায়, ‘এই কক্ষই ছিল আমাদের দুঃস্বপ্নের আয়না, যেখানে নিজেদের প্রতিচ্ছবি পর্যন্ত দেখতে ভয় লাগত।’

সামাজিক মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, আমাকে ২০-২৪ জুলাই আয়নাঘরের এই কক্ষে গুম করে রাখা হয়েছিল। নাহিদ ভাইকেও রাখা হয়েছিল একই ভবনের অন্য একটি সেলে। দেয়ালের টেক্সচার দেখে চিনতে পেরেছি। দেয়ালের ছিদ্রগুলোতে এক্সস্ট ফ্যান ছিল।

গত বছরের জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যখন তীব্রভাবে শুরু হয়, তখন সাদাপোশাকে নাহিদ ইসলামকে তুলে নেওয়া হয়। তবে তাকে ডিজিএফআইয়ের টর্চার সেলে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি।  সুচিস্মিতা তিথি ফেসবুকে তার আইডিতে এক পোস্টে এ অভিযোগ করেন।

তিনি আরও লেখেন, আজ সেখানে পরিদর্শনে গিয়ে কক্ষটি আইডেন্টিফাই করেন নাহিদ। এই কক্ষের এক পাশে টয়লেট হিসেবে একটি বেসিনের মতো ছিল বলে জানান তিনি। গত ৫ আগস্টের পর এই সেলগুলোর মাঝের দেয়াল ভেঙে ফেলা হয়, দেয়াল রং করা হয়।

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন হলো বাংলাদেশের সাধারণ শিক্ষার্থীদের একটি সংগঠন, যা ২০২৪ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় গঠিত হয়। এই আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।


সর্বশেষ সংবাদ