ডাকসু নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে পুনঃতদন্ত দাবি

ঢাবি উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করছেন গণ অধিকার পরিষদের রাশেদ খাঁন
ঢাবি উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করছেন গণ অধিকার পরিষদের রাশেদ খাঁন  © সংগৃহীত

২০১৯ সালের ডাকসুর নির্বাচনে কারচুপির পুনঃতদন্তের দাবি জানিয়ে ঢাবি উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের হাতে এ স্মারকলিপি তুলে দেন তিনি। স্মারকলিপিতে ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনের কারচুপির অনুসন্ধান, জড়িত ফ্যাসিবাদের দোসর শিক্ষকদের শাস্তি ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ডাকসুর সদস্য পদ বাতিলের দাবি জানান তিনি। 

লিখিত অভিযোগপত্রে রাশেদ খাঁন উল্লেখ করেন, ‘২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে আমি জিএম প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করি। নির্বাচনে আমার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ৬ হাজার ৬৩ দেখানো হয়। সেই নির্বাচনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য মো. আক্তারুজ্জামানের ভোট কারচুপির সহযোগিতায় জিএস হিসেবে নির্বাচিত দেখানো হয় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে। ডাকসুর ইতিহাসে রাত সাড়ে তিনটায় ফলাফল ঘোষণা করে তৎকালীন উপাচার্য মো. আক্তারুজ্জামান ছাত্রসমাজের সাথে প্রহসন ও মশকরায় লিপ্ত হন। জাতীয় নির্বাচনের চেয়েও জঘন্য কারচুপিতে লিপ্ত হন শিক্ষক নামধারী ফ্যাসিবাদের দোসর উপাচার্য ও তার সহযোগী শিক্ষকরা। এমনকি জিএস প্রার্থী গোলাম রাব্বানী ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে কোন নিয়ম না মেনেই উপাচার্য মো. আক্তারুজ্জামানের সহযোগিতায় এমফিলে ভর্তি হয়।

রাশেদ খাঁন আরও বলেন, ‘যেহেতু গোলাম রাব্বানীর ছাত্রত্বই ছিলোনা ও শিক্ষকদের সহযোগিতায় অবৈধ উপায়ে ভর্তি হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্র দখল, ব্যালট পেপারে অবৈধভাবে ছিল মারা, কৃত্রিম লাইন সৃষ্টি করা, ভোট দানে ভয়ভীতি প্রদর্শন করাসহ নানা কারচুপির সাথে যুক্ত হয়। এছাড়া সে নিষিদ্ধ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অসংখ্য শিক্ষার্থীকেও নির্যাতন করেছে, ক্যাম্পাসে অসংখ্য হামলার নেতৃত্ব দিয়েছে। এক্ষেত্রে আমি তার ছাত্রত্ব ও ডাকসু পদ বাতিল দাবি করছি। সে সময়ে সংক্ষুব্ধ প্রার্থী হিসেবে ডাকসু নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে গঠিত তদন্ত কমিটির কাছে আমি লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাইনি। কারণ ঐ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিলো ডাকসু নির্বাচনে উপাচার্য মো. আক্তারুজ্জামানকে ভোট কারচুপিতে সহযোগিতাকারী ফ্যাসিবাদের দোসর শিক্ষকদের সমন্বয়ে।

তিনি অভিযোপত্রে বলেন, ‌‌‌‌‘২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আপনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের অভিভাবক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনের কারচুপির অনুসন্ধানে নতুন তদন্ত কমিটি গঠন, জড়িত শিক্ষকদের শাস্তি ও বহিষ্কার, অবৈধ উপায়ে ভর্তি হয়ে ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সকল সদস্যদের ডাকসুর সদস্য পদ বাতিলপূর্বক ভুক্তভোগী প্রার্থীদের মূল্যায়নে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করার আহবান জানান তিনি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, ছাত্র অধিকার পরিষদ ঢাবি শাখার সদস্য সচিব রাকিবুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মুনতাসির, যুগ্ম সদস্য সচিব আব্বাস উদ্দিন প্রমুখ।


সর্বশেষ সংবাদ