ছাত্রসংগঠনের ‘তাত্ত্বিক নেতা’ থেকে সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৭ PM , আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪১ PM
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী হিসেবে মাহফুজ আলম এবার উপদেষ্টা পরিষদে যুক্ত হলেন। আজ রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে মাহফুজ আলমসহ তিনজন উপদেষ্টা শপথ নিয়েছেন।
২০২৩ সালের শেষের দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আত্মপ্রকাশ হওয়া ছাত্রসংগঠন গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির নেতৃবৃন্দের অন্যতম একজন ছিলেন মাহফুজ আলম। আন্দোলন সংগ্রামে ব্যানারের সামনে কিংবা মাইক হাতে তাকে দেখা না গেলেও সকল আন্দোলন সংগ্রামে তার অবদান অনস্বীকার্য। কেননা, মাহফুজ আলম পরিচিতজনদের মধ্যে একজন তাত্ত্বিক নেতা হিসেবেই পরিচিতি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে সামনে আসেন মাহফুজ আলম। তিনি ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিয়াজোঁ কমিটির সমন্বয়ক। প্রথমদিকে তার পরিচিতি আসিফ-নাহিদদের মতো না থাকলেও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর সকল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হন তিনি।
এরপর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম রয়টার্সে এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি নতুন রাজনৈতি দল, গণঅভূত্থানের চেতনা ধরে রাখা, সরকারকে সংহত করা, রাষ্ট্র ও সমাজের নানা অংশীজনের সঙ্গে বলে আগামী বাংলাদেশের রূপরেখা প্রকাশ করে আরও আলোচনার জন্ম দেন মাহফুজ আলম।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের ‘ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ লিডারস স্টেজ’ অনুষ্ঠানে মাহফুজ আলমকে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
নতুন উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে আওয়ামী লীগের পেজ থেকে নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরির নেতা বলে দাবি করেছে। তবে পরবর্তীতে প্র দুই মাহফুজ যে ভিন্ন ব্যক্তি সে বিষয় নিশ্চিত করা হয়েছে।
মাহফুজ আলমের বাড়ি লক্ষ্মীপুর উপজেলার রামগঞ্জ উপজেলার ইসাপুর গ্রামে। তার জন্ম ১৯৯৫ সালে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর গ্রামে। তিনি চাঁদপুর জেলার গল্লাক দারুচ্ছুন্নাত আলিম মাদ্রাসা থেকে এসএসসি (দাখিল) এবং তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা থেকে এইচএসসি (আলিম) পাস করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তিনি।