ঢাবি শিবিরের আলোকচিত্র প্রদর্শনী ‘মাফিয়াতন্ত্রের দিনলিপি’

  © সংগৃহীত

২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপি-জামায়াত জোটের চারদলীয় নেতাকর্মীদের উপর লগি-বৈঠাসহ আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে রাজপথে বর্বর হামলা চালায় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা। নারকীয় সেই হামলায় সারাদেশে শাহাদাত বরণ করে ৫৪ জন এবং আহত হয় ৫ সহস্রাধিক নেতা-কর্মী ও সাধারণ জনতা। এমনকি তাদের বর্বরতা থেকে রেহাই পায়নি শিশু, বৃদ্ধ, মহিলা, সাংবাদিক ও নিরীহ জনতা।

আজ ২৮ অক্টোবর (সোমবার)। লগি-বৈঠা হামলার আওয়ামী বর্বরতার ১৮ বছর। সেই উপলক্ষ্যে ‘মাফিয়াতন্ত্রের দিনলিপি’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে ছাত্রশিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাব অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী। 

২০০৯ সালের পিলখানা হত্যাকাণ্ড, ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি গণহত্যা, ৫ মে শাপলা চত্বর গণহত্যা, বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডসহ আরো অসংখ্য হত্যা ও গণহত্যার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে এই প্রদর্শনীতে। 

এই আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম ডিপার্টমেন্টের সহকারী অধ্যাপক আরিফুল ইসলাম অপু, ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম, ছাত্রশিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সাদিক কায়েম ও সেক্রেটারি এস এম ফরহাদ, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদী, ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি অর্পিতা গোলদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আল সাদী ভূইয়া, ইসলামি ছাত্র আন্দোলন ঢাবি শাখার সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত, ঢাবি শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক সানাউল্লাহ প্রমুখ। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক এস এম ফরহাদ বলেন, ২০০৬ সালে ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগের লগি-বৈঠা হামলা, ২০০৯ সালের পিলখানা বিডিয়ার বিদ্রোহ, শাপলা চত্বরের ঘটনা, জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতাদের ফাঁসি, প্রহসনের নির্বাচন ২০২৪ সালে ছাত্র আন্দোলনের ঘটনাকে কেন্দ্র পরে আমরা এই আলোক চিত্র প্রদর্শনী করেছি। আমরা চাই মানুষ এগুলো জানুক। 

সভাপতির বক্তৃতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাদিক কায়েম বলেন, লগি-বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে মানুষ হত্যার মত পৈশাচিক ঘটনা ছিল আওয়ামী ফ্যাসিবাদের যাত্রার প্রথম ধাপ। পরবর্তীতেও তারা ন্যাক্কারজনক হত্যাকান্ডের মাধ্যমে তাদের ক্ষমতা স্থায়ী করতে চেয়েছে কিন্তু তারা ছাত্র-জনতার দৃঢ়তার ফলে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ