বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে

নিহতের এক মাস পর আঙ্গুলে আংটি দেখে পরিচয় শনাক্ত

ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ
ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ  © সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত হওয়ার প্রায় ১ মাস পর পরিচয় শনাক্ত হল সরকার পতনের এক দফা দাবিতে আন্দোলনে প্রাণ হারানো তারেকের (১৮)। মরদেহের আঙ্গুলে আংটি দেখে মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর)  বিকেলে তার পরিচয় শনাক্ত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ থেকে মৃতদেহটি নিয়ে যান স্বজনরা।

আংটিসহ হাত-পায়ের নখ, গালে ছোট গর্ত ও মাথার চুল দেখে তার পরিচয় নিশ্চিত করা হয়।

তারেকের চাচাতো ভাই মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, পরিবার গ্রামে থাকলেও সে একা একটি মেসে থাকতো তারেক। গত ৫ আগস্ট সকাল ১১টার দিকে দোকানে নাস্তা করে রাস্তায় বের হয়েছিল তারেক। বেলা ১২টা ৩৭ মিনিটের পর থেকে তার ফোন বন্ধ পাচ্ছিলো সহকর্মীরা। তবে তারাও বিষয়টি পরিবারকে জানায়নি। তাছাড়া তার সঙ্গে পরিবারেরও যোগাযোগ খুব কম হতো।

আরও পড়ুন-  আন্দোলনের ২৯ দিনে নিহত বেড়ে ৬১১

তিনি আরও জানান, ১৫ আগস্টের পর পরিবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাকে না পেলে তাদের মনে সন্দেহ জাগে। পরবর্তীতে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায়, হাসপাতালে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। ঢাকা মেডিকেলের বিভিন্ন ওয়ার্ডেও খোঁজা হয় তাকে। তবে কোথাও তার সন্ধান মিলেনি। পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে এসে সব বেওয়ারিশ লাশের ছবি তুলে স্বজনদেরকে পাঠানো হয়। সেসব ছবির ভিতর থেকে একটি লাশ তারেকের বলে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করেন তারা। গত রোববার গ্রাম থেকে তারেকের বাবা মো. রিয়াজ ঢাকায় আসেন। রোববারেই তাকে ঢাকা মেডিকেলের মর্গে সরাসরি লাশ দেখানো হয় এবং তিনিও তার ছেলে শনাক্ত করেন।

স্বজনা জানান, পরবর্তীতে তারা জানতে পারেন, যাত্রাবাড়ী এলাকায় ৫ আগস্ট দুপুরে গুলিবিদ্ধ হয়েছিল সে। তখন আন্দোলনরতরাই তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে ওই দিনই মারা যায় তারেক। তার বুকের ডানপাশে একটি গুলি চিহ্ন রয়েছে।

উল্লেখ্য, তারেকের বাড়ি ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ওমরপুর গ্রামে। বাবার নাম মো. রিয়াজ। সে যাত্রাবাড়ী বিবির বাগিচা এক নম্বর গেট এলাকার একটি মেসে থাকতো। সেখানে একটি দর্জি দোকানের কর্মচারী ছিল তারেক।


সর্বশেষ সংবাদ