বিএনপির মিছিলের ছবি দেখে ছোটভাইকে পেটালেন রাবি ছাত্রলীগ নেতা
- রাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২২ মে ২০২৩, ০৪:২৯ PM , আপডেট: ২০ আগস্ট ২০২৫, ১০:৩৪ AM
বিএনপির মিছিলে যাওয়ায় নিজ বিভাগের ছোটভাইকে মারধর করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী এক নেতা। সাকিবুল হাসান বাকি নামের ওই নেতার ভাষ্য, বিএনপির মিছিলে যাওয়ায় ওকে মেরেছি। ওই সমাবেশে প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি করে কথা বলেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ উপলক্ষ্যে আজকে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল। তাই বিভাগের সামনে ছাত্রদলের আহবায়ক সদস্যকে পেয়ে আমার ছোটভাইরা তাকে মারধর করে।
আজ সোমবার (২২ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনের সামনে টুকিটাকি চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হলেন শেখ নূর উদ্দিন আবির। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। একই বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ নেতা হলেন সাকিবুল হাসান বাকি।
শেখ নূর বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক সদস্য। আর ছাত্রলীগ নেতা হলেন সাকিবুল হাসান বাকি শাখা ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী। ঘটনার সময় তার সাথে তার কয়েকজন কর্মীও ছিল।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রদল নেতা জানান, যারা আমার উপর হামলা করেছে তারা আমার বিভাগের বড় ভাই। তারা আমাকে ফোন দিয়ে বিভাগের সামনে যেতে বলে। পরে এক ছোট ভাইকে দিয়ে মোটরসাইকেল পাঠায়। মোটরসাইকেল দিয়ে যাওয়ার পরে সাথে সাথে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিষিদ্ধ বলেই তারা আমার উপর হামলা চালায়। হাবিব নামের একজন আমাকে কিল-ঘুষি মারতে থাকে এবং বাকি ভাই আমাকে বাঁশ দিয়ে পায়ের গোড়ালিতে মারতে থাকে। এক পর্যায়ে বিভাগের ছোট ভাইরা আমাকে রিকশায় তুলে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের হাতে তুলে দেন।
এখন তার অবস্থা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাঁশ দিয়ে পায়ের রগে পিটিয়েছে ফলে গুরুতরভাবে আহত হয়েছি। এখন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ইমার্জেন্সিতে ভর্তি আছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ছাত্রলীগ নেতাকর্মী বলেন, ছাত্রলীগ নেতা বাকি সংগঠনে সেভাবে সক্রিয় না। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী। পদ পেতে কেন্দ্রীয় নেতাদের চোখে ভাইরাল হওয়ার জন্য তিনি এমনটা করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ঘটনাটা সম্পর্কে আমরা শুনেছি। ঘটনাক্রমে সেখানে আমাদের কয়েকজন সহকারী প্রক্টর ছিলেন। ঘটনার বিস্তারিত জেনে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান তিনি।