সম্মেলন নিয়ে কোনো প্রস্তুতি নেই নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের

লোগো
লোগো  © ফাইল ছবি

আগামী মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়া কথা রয়েছে। তবে সম্মেলন আয়োজনের একদিন আগেও নেই কোন ‍দৃশ্যমান প্রস্তুতি। গঠন করা হয়নি সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটিও। শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ক্যাম্পাসে থাকলেও সভাপতি রয়েছেন রাজধানীতে। সম্মেলন নিয়ে সংগঠনটির শীর্ষ নেতাদের এমন আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পদপ্রত্যাশীরা।

এর আগে, গত ২৫ অক্টোবর বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলন আয়োজনের নির্দেশনা দেয়া হয়। দীর্ষ পাঁচ বছর পর এ নির্দেশনায় আশার সঞ্চার হয়েছিল বলেন জানান পদপত্যাশী নেতাকর্মীরা।

এদিকে, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনার ১২ দিন পরেও সম্মেলনের অতিথি থেকে শুরু করে সম্মেলন স্থান প্রস্তুতের কাজও শুরু হয়নি। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান রাকিব বলছেন সম্মেলন আয়োজন বেশি সময়ে কাজ নয়। আর সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবু চাইছেন সম্মেলন না করে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যম কমিটি ঘোষণা করতে।

আরও পড়ুন: ৩ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের সম্মেলন

জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবু বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে অবস্থান করছেন। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক ক্যাম্পাসে অবস্থান করলেও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি ঘোষণা করতে পারছেন না সভাপতির স্বাক্ষরের অভাবে। তবে সূত্র বলছে, পরবর্তী নেতৃত্ব কেমন হবে সেটির উপর ভিত্তি করেই নির্ধারণ হবে সম্মেলন হবে কি-না।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান রাকিব দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এটি বেশী সময়ের বিষয় নয়। আমি সম্মেলন করতে প্রস্তুত। কেন্দ্র অতিথি নির্ধারণ করে দিলেই আমরা করে ফেলবো। কেন্দ্র চাইলে সম্মেলন হবে। তবে সভাপতির অনুপস্থিতির বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজী হননি তিনি।

সম্মেলনের প্রস্তুতি নিয়ে সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবু বলেন, আমরা প্রস্তুত। কেন্দ্র নির্দেশ দিলেই হবে। তবে এই সময়ে প্রেস কমিটি হওয়াটাই ভালো। এতে সকলের জন্যেই ভালো হয়। তবে সম্মেলন রেখে ঢাকায় কেনো এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজনৈতিক কাজেই ঢাকায় আছি।

এদিকে এরই মধ্যে আগামী ৩ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। যার কারণে প্রশ্ন উঠেছে কমিটি গঠন করবার ক্ষমতা বিলুপ্ত হয়েছে বর্তমান কমিটির। এতে ক্যাম্পাসে গুঞ্জন ছড়িয়েছে এই কমিটিই বহাল থাকছে। এ বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ফোন করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এতে সম্মেলনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে শাখা ছাত্রলীগের নতুন পদ প্রত্যাশীদের মধ্যে এক ধরনের ক্ষোভ বিরাজ করছে। সম্মেলন হবে কিনা এই সন্দেহে আছেন একাধিক পদপ্রার্থী। ব্যানার-পোস্টার বানাতেও দ্বিধায় রয়েছেন অনেকে। সম্মেলন অনিশ্চিতের কারণে ঢাকায়ও অবস্থান করছেন অনেক ৫-৭ জন পদপ্রার্থী।

নতুন পদ প্রত্যাশীরা বলছেন, দীর্ঘ ৫ বছর পর সম্মেলনের খবরে আমরা একটি উৎসবের অপেক্ষায় ছিলাম। প্রস্তুতিহীন এমন অবস্থায় আমরা অনেকটা আশাহত। শাখা ছাত্রলীগের উচিৎ ছিলো কেন্দ্রের নির্দেশনার পরেই তাদের সম্মেলন নিয়ে কাজ শুরু করা। কিন্তু তারা সেটা না করে সময় অপচয় করছেন। তবে শেষ পর্যন্ত চাই সম্মেলন যেনো হয়।


সর্বশেষ সংবাদ