ছাত্রলীগের সম্মেলন হতে পারে ১০ ডিসেম্বর
- খাঁন মুহাম্মদ মামুন
- প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২২, ১০:২৫ PM , আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২২, ১০:৫১ PM
ছাত্রলীগের ৩০তম কেন্দ্রীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে পারে আগামী ১০ ডিসেম্বর। সোমবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে ছাত্রলীগের দুই শীর্ষ নেতার বৈঠকে প্রাথমিকভাবে এমন সিদ্ধান্তের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এছাড়াও মহিলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে আগামী ৩ ডিসেম্বর।
গতকাল আওয়ামী লীগের সম্মেলনের আগেই ছাত্রলীগকে সম্মেলন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার এ নির্দেশনার কথা জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার একদিন পরই সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করলো দলটির হাই-কমান্ড।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ছাত্রলীগের সম্মেলন আগামী ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম নিশ্চিত করেছেন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বিজয়ের মাস ডিসেম্বরেই। এছাড়াও মেয়াদোত্তীর্ণ সংগঠনগুলোরও সম্মেলন হবে। সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর নির্ভর করছে তারিখ দেওয়া।
আরও পড়ুন: পাওয়ার পলিটিক্স নয়, রিসার্চ পলিটিক্সে গুরুত্ব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য উপস্থিত ছিলেন ওই বৈঠকে।
ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির মেয়াদ পেরিয়ে গেছে ২০২১ সালে ৩১ জুলাই। ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে সভাপতি ও গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক করে ছাত্রলীগের কমিটি দেয়া হয়। এর প্রায় এক বছর পর ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হয়। দুর্নীতি, অনিয়ম ও চাঁদাবাজির অভিযোগে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুজনকেই অব্যাহতি দেয়া হয় ওই কমিটি থেকে।
এরপর সংগঠনটির দায়িত্ব নেন আল নাহিয়ান খান জয় ও লেখক ভট্টাচার্য। তারা এখনও দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। ২০২০ সালের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এ দুজনকেই ভারপ্রাপ্ত থেকে পূর্ণাঙ্গ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তবে এ দুজনের বিরুদ্ধেও রয়েছে নানা অভিযোগ। তাই, এখন ছাত্রলীগের সম্মেলনে চোখ সংগনটির সকল স্তরের নেতা-কর্মীদের।
তথ্য বলছে, নব্বই দশকের পর ছাত্রলীগের প্রায় সব কমিটিই সম্মেলন আয়োজনের ক্ষেত্রে গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করেছে। এসব কমিটি দুই বছর মেয়াদের জায়গায় চার বছর পার করেছে। তবে, করোনা মহামারীর কারণে ছাত্রলীগের ৩০তম সম্মেলন নিয়মিত সময়ে আয়োজন করা সম্ভব হয়নি বলে দাবি সংগঠনটির নেতাকর্মীদের। তারা বলছেন, নিয়মিত সম্মেলন না হওয়ায় অনেক যোগ্য প্রার্থীর নির্ধারিত বয়স (২৯ বছর) পার হয়ে গেছে। সেক্ষেত্রে বয়স এক বছর শিথিল করার দাবিও তাদের।