১৪ বছর বয়সেই স্কুল পালানো সেই ছেলেটি ভারতের সর্বকনিষ্ঠ বিলিয়নিয়র

নিখিল কামাথ
নিখিল কামাথ  © সংগৃহীত

৩৪ বছর বয়সী নিখিল কামাথ ভারতের সর্বকনিষ্ঠ বিলিয়নিয়র হিসাবে পরিচিতি পেয়েছেন। মাত্র ১৪ বছর বয়সেই তিনি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছেড়েছিলেন। জীবনে ঠিক কী করবেন, তখন জানা ছিল না নিখিলের। শুধু জানতেন অর্থ উপার্জন করতে হবে।

২০১০ সালে নিখিল তার বড় ভাইয়ের সঙ্গে মিলে নিজের কোম্পানি ‘জিরোধা’ এর যাত্রা শুরু। এরপর আর তাকে পিছনে ফিরে থাকাতে হয়নি। যেটি কিনা একটি ট্রেডিং কোম্পানি। দেশের সবচেয়ে বড় ব্রোকারেজ সংস্থাও এটি। 

ফোর্বসের তালিকায় ১০০ জন ভারতীয় ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় নাম রয়েছে নিখিল কামাথ ও তার ভাইয়ের। তার সংস্থায় বর্তমানে ৪০ লক্ষ রেজিস্টার্ড ইউজার রয়েছে। 

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের সাফল্যের যাত্রাপথের কথা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন নিখিল। তার কথায়, শৈশবেই আমি আনুষ্ঠানিক শিক্ষার আগ্রহ হারিয়ে ফেলি এবং দাবা খেলতে শুরু করেছিলাম।

১৪ বছর বয়সেই এক বন্ধুর সঙ্গে মিলে পুরানো ফোন কেনা বেচার ব্যবসা শুরু করেছিলেন নিখিল। কিন্তু তার মা সেই খবর জানতে পারলে সব ফোন বাথরুমে ফেলে দেন। 

নিখিল কামাথের মতে, ততোদিনে স্কুলের প্রতি তার বিরক্তি এসে গিয়েছিল। তিনি পরীক্ষা দেওয়া বন্ধ করে দিলে স্কুলের পক্ষ থেকে তার বাবা-মাকে ডেকে পাঠানো হয়। 

এরপর ১৭ বছর বয়সে কল সেন্টারে চাকরি পেয়ে কাজ শুরু করেন নিখিল। তাও আবার জন্মের প্রশংসাপত্র জালিয়াতি করে। বেতন ছিল ৮ হাজার টাকা। বিকেল ৪টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত সেখানে কাজ করতেন নিখিল।

১৮ বছর বয়সে শেয়ারবাজারে অর্থ বিনিয়োগ করা শুরু করেন নিখিল। সেখান থেকেই অনেক কিছু শিখেছিলেন।নিখিল জানান, তার কল সেন্টারে চাকরির শেষ বছর তিনি একদিনও অফিস যাননি, কারণ ততদিনে শেয়ারবাজার থেকে অনেক বেশি অর্থ উপার্জন করা শুরু করেছিলেন। 

এরপর তার বাবা নিখিলকে বিশ্বাস করতে শুরু করেন। তিনিই কিছু টাকা দিয়ে সেগুলো শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে বলেন। পরে নিখিলের কল সেন্টারের ম্যানেজারও তাকে তার অর্থ শেয়ারে বিনিয়োগ করতে দেন।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence