এশিয়া কাপে ওপেন করতে পারেন সাকিব-মুশফিক, চারে আফিফ

সাকিব-মুশফিক-আফিফ
সাকিব-মুশফিক-আফিফ  © টিডিসি ফটো

এশিয়া কাপের জন্য ভারত, পাকিস্তান ১৫ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করলেও বাংলাদেশ ঝুঁকি না নিয়ে ১৭ সদস্যের দল দিয়েছে। এই স্কোয়াড়ে  স্বীকৃত ও প্রতিষ্ঠিত ওপেনার মোটে ২ জন। এনামুল হক বিজয় এবং পারভেজ হোসেন ইমন।

জিম্বাবুয়ে সফরে টি টোয়েন্টি দলে থাকা লিটন দাস, মুনিম শাহরিয়ার আর নাজমুল হোসেন শান্তকে রাখা হলো না এশিয়া কাপের দলে। লিটন বাদ পড়েছেন ইনজুরির কারণে। বাকি দু’জনের অফফর্ম। তাই দুজন ওপেনার নিয়েই দল ঘোষনা করতে হলো। 

এমনিতেই বাংলাদেশ দল ওপেনিং সংকটে জর্জরিত। ওপেনারদের পারফরমেন্স খুবই খারাপ। সেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকে ক্রমাগত ওপেনার পাল্টেও কোনো লাভ হয়নি। একমাত্র লিটন দাস ছাড়া আর কেউই সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। সবাই ব্যর্থতার ঘানি টেনেছেন। 

আরও পড়ুন: সেরা ৩০ ফুটবলারের তালিকায় জায়গা হয়নি মেসি-নেইমারের

তবে আজ সোমবার মিরপুরের বিসিবি ভবনে শোকাবহ ১৫ আগস্টের মূল অনুষ্ঠান শেষে সংবাদমাধ্যমকে টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন জানালেন, প্রতিপক্ষের বোলিং শক্তি বিবেচনায় সাজানো হবে ওপেনিং পজিশন।

সুজন বলছিলেন, ‘স্বীকৃত ওপেনার বিজয় ও পারভেজ ইমন। বাকি অনেকেই কিন্তু স্থানীয় ক্রিকেটে ওপেন করেছে। আফগানিস্তানের যে বোলিং অ্যাটাক সেই বোলিং অ্যাটাকে আমরা কাকে ওপেন করাবো সেটা নিয়ে ভাবছি। মুশফিক হতে পারে। ইউ নেভার নো, সাকিবও হতে পারে। মিরাজ হতে পারে, শেখ মেহেদীও ওপেন করেছে। অনেকগুলো অপশন আছে। কম্বিনেশনের জন্য আমরা চিন্তা করছি।’

শেষ পর্যন্ত এশিয়া কাপে সাকিব, মুশফিক, মিরাজ কিংবা শেখ মাহদিদের কাউকে ওপেন করতে দেখা গেলে অবাক হবার কিছুই থাকবে না।

অন্যদিকে আফিফকে চার নম্বরে খেলানো হবে কি না―এমন প্রশ্নে সুজন বলেন, ‘আমরা সেখানেই ওকে সুযোগ দেব। আমরা নির্দিষ্ট একটা দায়িত্ব নিয়ে আফিফকে চিন্তা করছি। হি ইজ আ ডায়নামো। আমার মনে হয়, সে আত্মবিশ্বাসী একটা ছেলে। শেষ দুটি সিরিজে দারুণ ব্যাটিং করেছে। ওয়ানডেতেও ভালো খেলেছে। আমরা আফিফকে সে জায়গাটা দেব। কারণ সে আমাদের ভবিষ্যৎ। ’


সর্বশেষ সংবাদ