ক্ষুধায় কষ্ট পাওয়া সেই ছেলেটিই লিভারপুলের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড়

ডারউইন নুনেজ
ডারউইন নুনেজ  © ফাইল ফটো

এক সময় খাওয়ার টাকা ছিল না তার। অনেক রাতে না খেয়েই ঘুমিয়ে পড়তে হয়েছে। সেই ডারউইন নুনেজই এখন লিভারপুলের সবচেয়ে দামি ফুটবলার। বেনফিকার সঙ্গে তাকে কেনার ব্যাপারে চুক্তির সবকিছুই ঠিকঠাক করে ফেলেছে লিভারপুল। আনুষ্ঠানিক ঘোষণাটা কেবলই সময়ের ব্যাপার।

চ্যাম্পিয়নস লিগের রানার্সআপ লিভারপুল ১০ কোটি ইউরো দিয়ে কিনছে নুনেজকে। এর মধ্যে ২ কোটি ৫০ লাখ ইউরো হচ্ছে শর্ত সাপেক্ষ। আগামী ৬ বছর লিভারপুলের হয়ে খেলবেন উরুগুয়েন এই স্ট্রাইকার। 

ফুটবলার হওয়ার পথে ডারউইন নুনেজের শৈশব কেটেছে অনেক কষ্টে। এতটাই কষ্টের যে বহু রাত কাটাতে হয়েছে অনাহারে। দুই ভাই মিলে রাতে ঘুমাতেন না খেয়ে। অনেক সাক্ষাৎকারে তাঁর শৈশবের দিনগুলোর বর্ণনা পাওয়া যায়। সাক্ষাৎকারগুলোতে তিনি বলেছিলেন, ‘অনেক রাত না খেয়ে ঘুমিয়েছি। তবে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আমার মা সবচেয়ে বেশি অনাহারে ঘুমিয়েছেন। তিনি আমাদের সঙ্গে না খেয়েই ঘুমিয়ে পড়তেন যেন আমরা দুই ভাই আগে খেতে পারি। তাই আমি ভুলব না কোথা থেকে এসেছি।’ 

লিভারপুল অনেক দিন থেকেই একজন গোল শিকারির সন্ধানে ছিল। সাদিও মানের ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্ত লিভারপুলকে নতুন তারকা কেনার দিকে আরও এগিয়ে দেয়। এর মধ্যে কিলিয়ান এমবাপ্পে ও আর্লিং হালান্ডকেও চেয়েছিল তারা। তবে শেষ পর্যন্ত হিসাবে মেলেনি। তবে দর-কষাকষির হিসাবটা পুরোপুরি মিলেছে নুনেজকে কিনতে গিয়ে। বয়স বিবেচনাতেও নুনেজকে সেরা পছন্দ হিসেবে বেছে নিয়েছে ‘অল রেড’রা। 

 ২২ বছর বয়সী ডারউইন নুনেজ একজন পূর্ণাঙ্গ স্ট্রাইকার। বেনফিকার হয়ে গত মৌসুমে অসাধারণ খেলেছেন তিনি। সব মিলিয়ে গোল করেছেন ৩৪টি। তাঁর খেলা সম্পর্কে লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ বলেছিলেন, ‘সে শারীরিকভাবে শক্তিশালী, গতি আছে, ফিনিশিং ভালো। সব মিলিয়ে খুবই ভালো খেলোয়াড়। সে যদি সুস্থ ও চোটমুক্ত থাকতে পারে, তাহলে দারুণ একটা ক্যারিয়ার গড়তে পারবে।’

ডারউইন নুনেজের ইউরোপীয় ক্যারিয়ার শুরু হয় স্পেনের ক্লাব আলমেরিয়া দিয়ে। এরপর তিনি যোগ দেন পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকাতে। গত মৌসুমে ভালো খেলে ইউরোপের বড় দলগুলোর চোখে পড়েন। এখন সবচেয়ে দামি ফুটবলার হিসেবে লিভারপুলে আসতে যাচ্ছেন। এর আগের ক্লাব রেকর্ডটি ছিল ডিফেন্ডার ভার্জিল ফন ডাইকের। তাঁকে কিনতে লিভারপুলের খরচ হয়েছিল ৭ কোটি ৫০ লাখ ইউরো। 


সর্বশেষ সংবাদ