ডর্টমুন্ডকে কাঁদিয়ে রেকর্ড ১৫তম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা রিয়াল মাদ্রিদের
- টিডিসি স্পোর্টস
- প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৪, ০৮:০১ AM , আপডেট: ০২ জুন ২০২৪, ০৮:০৬ AM
চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে প্রথমার্ধে রিয়াল মাদ্রিদের কঠিন পরীক্ষা নিয়েছে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। তাদের একের পর এক আক্রমণের তোড়ে ভেসে যাওয়ার অবস্থা মাদ্রিদের। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ভিন্ন রূপে হাজির আনচেলত্তির দল। ১০ মিনিটের ব্যবধানে দুইবার প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠিয়ে ইউরোপ সেরার মুকুট পুনরুদ্ধার করল রেকর্ড চ্যাম্পিয়নরা। ডর্টমুন্ডকে ২-০ গোলে হারিয়ে রেকর্ড ১৫তম বার চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জয় করল লস ব্লাঙ্কোসরা।
শনিবার (১ জুন) ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে ২-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। এটি রিয়ালের রেকর্ড ১৫তম শিরোপা। এই ফাইনাল জিতে ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়েছেন রিয়ালের দুই কিংবদন্তি টনি ক্রুস ও লুকা মদ্রিচ। রিয়ালেরই কিংবদন্তি পাকো গেন্তোর সঙ্গে তারা দুজনও এখন সর্বোচ্চ চ্যাম্পিয়ন্স লিগজয়ী খেলোয়াড়। তিনজনই জিতেছেন ছয়টি করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা। রিয়ালের হয়ে ছয়টি করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছেন অধিনায়ক নাচো ফার্নান্দেজ ও দানি কার্ভাহালও।
ম্যাচের ২০ মিনিটে ম্যাট হামেলসের থ্রু বল ধরে রিয়াল গোলরক্ষককে একা পেয়ে গিয়েছিলেন করিম আদেমি। থিবু কোর্তোয়াকে কাটাতে গিয়ে সময় নষ্ট করে ফেলেন তিনি, ততক্ষণে কার্ভাহাল এগিয়ে এসে ঝুঁকিমুক্ত করেন রিয়ালকে।
২৩ মিনিটে জোড়া আক্রমণ করে বরুশিয়া। সানচোর পাস থেকে ফুলক্রুগ রিয়াল গোলরক্ষক কোর্তোয়াকে পাশ কাটিয়ে বাঁ পায়ের আলতো ছোঁয়ায় বক্সের দিকে ঠেলে দেন। কিন্তু তা ভেতরের পোস্টে লেগে ফেরত আসে। ৩৫ মিনিটে হলুদ কার্ড দেখেন মাদ্রিদের ভিনিসিয়ুস। বরুশিয়া গোলরক্ষকের পায়ে আঘাত করার কারণে কার্ড দেখেন তিনি। হলুদ কার্ড দেখেন ডর্টমুন্ডের স্লটারব্যাকও। শেষ পর্যন্ত প্রথমার্ধে গোলশূন্য ড্র নিয়ে বিরতিতে যায় দুই দল।
৫৭ মিনিটে বক্সের ভেতর থেকে কারভাহালের শট কোনরকমে ঠেকান ডর্টমুন্ডের সুইস কিপার গ্রেগর কোবিয়াল। ৭৪ মিনিটে আসে কাঙ্ক্ষিত মুহূর্ত। ক্রুসের নেওয়া কর্নার কিক থেকে হেডে রিয়ালকে এগিয়ে দেন কারভাহাল। শেষ ম্যাচে মহা গুরুত্বপূর্ণ অ্যাসিস্ট করা ক্রুস হন উৎসবের মধ্যমণি।
৮৩ মিনিটে আর আটকানো যায়নি ভিনিসিয়ুসকে। রক্ষণের ভুলে ফাঁকায় বল পেয়ে সহজেই ব্যবধান দ্বিগুণ করে নেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। এই গোলে অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায় রিয়ালের জয়। শেষ পর্যন্ত বাকি সময়ে বরুশিয়া কোনো চমক দেখাতে ব্যর্থ হলে চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের উৎসবে মাতে মাদ্রিদের ফুটবলাররা।