রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ভারতকে হারাল বাংলাদেশ

  © সংগৃহীত

চলতি এশিয়া কাপে কোনও ম্যাচে হারেনি ভারত। অবশেষে তাদের হারের স্বাদ দিলো বাংলাদেশ। সুপার ফোরের শেষ দ্বৈরথে টিম ইন্ডিয়াকে ৬ রানে হারিয়েছে টাইগাররা।

১২ বলে ভারতের দরকার ছিল মাত্র ১৭ রান। ডেথ ওভারে মুস্তাফিজুর রহমানের কার্যকারিতা সবারই জানা। ৪৮তম ওভারে আক্রমণে এসেই মুস্তাফিজ শার্দুলকে ফেরান। তবে স্বল্প পুঁজি তখনও বাংলাদেশকে স্বস্তিতে রাখতে দিচ্ছিল না। প্যাটেল চারের বাউন্ডারি মেরে আবারও পাল্টা হুমকি দিয়ে রাখেন। এরপরই ফের মুস্তা-র ঝলক। তাকে তুলে মারতে গিয়ে তানজিদ তামিমের তালুবন্দী হন প্যাটেল।

শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ২৬৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ভারত। তানজিদ হাসান তামিমের শিকার হয়ে ফেরেন রোহিত শর্মা ও তিলক ভার্মা। পরে শুভমান গিলকে নিয়ে খেলা ধরেন লোকেশ রাহুল। তবে হঠাৎই থেমে যান রাহুল। দলীয় ৭৪ রানে মাহেদীর বলে আউট হন তিনি। পরক্ষণেই ইনফর্ম ইশান কিষানকে ফিরিয়ে দেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

৯৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ভারত। এই পরিস্থিতিতে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন সূর্যকুমার যাদব। তবে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি তিনি। সাকিব আল হাসানের বলে বোল্ড হয়ে ব্যক্তিগত ২৬ রানে সাজঘরের পথ ধরেন হার্ডহিটার ব্যাটার।

একে একে ভারতীয় টপঅর্ডারররা ফিরলেও একপ্রান্ত আগলে থেকে যান ওপেনার শুভমান গিল। স্ট্রোকের ফুলঝুরি ছোটাতে থাকেন। তাকে সঙ্গ দেন রবীন্দ্র জাদেজা। কিন্তু আচমকা থেমে যান তিনি।     তবে গিল তাণ্ডব চলতেই থাকে। একের পর এক চার ছক্কায় ক্যারিয়ারে চতুর্থ সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি।   

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ভারতের বোলারদের বিপক্ষে ব্যর্থ হন বাংলাদেশের টপ-অর্ডাররা। তৃতীয় ওভারে এসে প্রথম উইকেটের দেখা পায় ভারত। মোহাম্মদ শামির ইনসুইং বুঝতে ব্যর্থ হন লিটন দাস। শূন্য রানে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। পরের ওভারে আউট হন তানজিদ হাসান তামিম। 

এদিন ব্যর্থ ছিলেন এনামুল হক বিজয়ও। দীর্ঘ সময় পর জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া এই ব্যাটার নিজেকে প্রমাণ করতে পারেননি। শামির বলে পুল করতে গিয়ে আউট হন তিনি। দ্রুত ৩ উইকেট হারানোর পর পাঁচে পাঠানো হয় মেহেদী হাসান মিরাজকে। তিনিও জ্বলে উঠতে পারেননি। ২৮ বলে ১৩ রান করে অক্ষর প্যাটেলের বলে স্লিপে ক্যাচ দেন ইনফর্ম ব্যাটার। 

৫৯ রানে চার উইকেট হারিয়ে ফেলা বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান তাওহীদ হৃদয় ও সাকিব আল হাসান। ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৮৫ বলে ৮০ রান করে আউট হন সাকিব। তারকা এই ক্রিকেটারের বিদায়ের মধ্য দিয়ে হৃদয়ের সঙ্গে ১০১ রানের জুটিটিও ভেঙে যায়। এরপর টানা দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন তাওহীদ।

৮১ বলে ৫৪ রান করে শামিকে তুলে মারতে গিয়ে তিলক ভার্মার হাতে ক্যাচ দেন তিনি। এরপর ব্যাট হাতে চমক দেখান নাসুম আহমেদ। ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৪৫ বলে ৪৪ রান করে আউট হন  তিনি। মাহেদী হাসান ও অভিষিক্ত সাকিব জুটিতে যোগ করেন ২৭ রান। ২৩ বলে ২৯ রান করে মাহেদী এবং ৮ বলে ১৪ রান করে অপরাজিত থাকেন সাকিব। ভারতের হয়ে শার্দুল ৩ এবং শামি ২ উইকেট লাভ করেন।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence