নাসির-তামিমার বিচার চলবে
- টিডিসি স্পোর্টস
- প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:৩৬ PM , আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:৫৬ PM
তালাক না নিয়ে অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগে ক্রিকেটার নাসির হোসাইন ও তার স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মির বিরুদ্ধে করা মামলার বিচার চলবে বলে আদেশ দিয়েছেন আদালত। গত বছর ২০২২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ক্রিকেটার নাসির হোসাইন ও তার স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মির বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন। তবে তামিমার মা সুমি আক্তারকে এ মামলা থেকে অব্যাহতির আদেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মুর্শিদ আহাম্মেদ রিভিশন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন। গত ৩১ জানুয়ারি এ মামলায় বাদী ও বিবাদী পক্ষের পৃথক আবেদনের শুনানি শেষে আদেশের জন্য এ দিন ধার্য করেন একই আদালত।
বাদীপক্ষের আইনজীবী ইশরাত হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নাসির-তামিমার বিচার চলতে বাধা নেই।
গত বছর ৬ মার্চ মহানগর দায়রা আদালতে নাসির ও তামিমার বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন করেন তাদের আইনজীবী কাজী নজিব্যুল্লাহ হিরু। এদিকে সুমি আক্তারকে অব্যাহতির আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন দায়ের করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী ইশরাত হাসান।
২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাম্মির স্বামী রাকিব হাসান বাদী হয়ে এই মামলাটি করেন।
আরও পড়ুন: আর্জেন্টিনার সেই পাগলাটে সমর্থকেরাই হলেন বর্ষসেরা
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তাম্মি ও রাকিবের বিয়ে হয়। তাদের আট বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। তাম্মি পেশায় একজন কেবিন ক্রু। পরে তাম্মি ও ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা রাকিবের নজরে আসে। পরে পত্র-পত্রিকায় তিনি ঘটনার বিষয়ে সম্পূর্ণ জানেন।
আরও অভিযোগ করা হয়, রাকিবের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক চলমান অবস্থাতেই তাম্মি নাসিরকে বিয়ে করেছেন; যা ধর্মীয় এবং রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী সম্পূর্ণ অবৈধ। তাম্মিকে প্রলুব্ধ করে নিজের কাছে নিয়ে গেছেন নাসির। তাম্মি ও নাসিরের এমন অনৈতিক ও অবৈধ সম্পর্কের কারণে রাকিব ও তার আট বছর বয়সী কন্যা মারাত্মভাবে মানসিক বিপর্যস্ত হয়েছেন। আসামিদের এমন কার্যকলাপে রাকিবের চরমভাবে মানহানি হয়েছে, যা তার জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।
মামলাটি তদন্ত করে ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তিন জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন পিবিআইয়ের পরিদর্শক শেখ মো. মিজানুর রহমান।