রেকর্ডবুক ওলট-পালট করে দিলেন লিওনেল মেসি

বিশ্বকাপ ট্রফিতে চুমু খাচ্ছেন লিওনেল মেসি
বিশ্বকাপ ট্রফিতে চুমু খাচ্ছেন লিওনেল মেসি  © ইন্টারনেট

লিওনেল মেসি তো বটেই, গোটা বিশ্বের শত শত কোটি মানুষের চাওয়া ছিল তার হাতে সোনার কাপটা উঠুক। সেই চাওয়া পূরণ হয়েছে। তিনি এখন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়ের মুকুট এখন তার মাথায়। রোববার রাতে ফ্রান্স হারিয়ে নিজের স্বপ্নকেও ছাড়িয়ে গেছেন। এই খেলায় ওলট পালট করে দিয়েছেন রেকর্ড বইও। 

আগের চার বিশ্বকাপে তেমন কিছু না পেলেও কাতার বিশ্বকাপ যেন তাকে দুহাত ভরে দিয়েছেন। একের পর রেকর্ড ভেঙেছেন তিনি। বিশ্বকাপ ফুটবল ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২১টি গোলে অবদান মেসির। ১৯৬৬ বিশ্বকাপ থেকে রেকর্ড রাখা শুরুর পর এই রেকর্ড তাঁর। নিজে ১৩টি গোল করার পাশাপাশি আটটিতে সহায়তা করেছেন।

আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি গোল মেসির। মোট ১৩টি গোল করেছেন মেসি। তাঁর পরে আছেন গ্যাব্রিয়েল বাতিস্ততা (১০), ম্যারাডোনা ও গিলের্মো স্তাবিলে (৮), মারিও কেম্পেস (৬) ও গনসালো হিগুয়েন (৫)। বড় টুর্নামেন্টে দক্ষিণ আমেরিকার সর্বোচ্চ ২৬ গোল মেসির। ১৯৮২ বিশ্বকাপ থেকে শুরু হয় গোল্ডেন বলের পুরস্কার দেওয়া। একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে এ পুরস্কার দুইবার জিতলেন মেসি।

আরো পড়ুন: ফ্রান্সকে হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা

বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি সময় মাঠে থাকা খেলোয়াড়ও  লিওনেল মেসি। দুই হাজার ৩১৪ মিনিট মাঠে ছিলেন তিনি। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইতালিয়ান কিংবদন্তি পাওলো মালদিনি ছিলেন দুই হাজার ২১৭ মিনিট। পাঁচটি বিশ্বকাপে গোলে সহায়তা করা একমাত্র খেলোয়াড়ও মেসি। তাঁর কাছাকাছি থাকা পেলে, গ্রজেগর্জ লাতো, ম্যারাডোনা ও ডেভিড বেকহাম তিনটি বিশ্বকাপে গোলে সহায়তা করেছেন। নকআউটে ছয়টি করে অ্যাসিস্ট করেছেন মেসি ও পেলে।

বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে গ্রুপপর্ব, শেষ ষোলো, কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল ও ফাইনালে গোল করার কৃতিত্ব তার। পাঁচটি বিশ্বকাপ খেলা ছয় খেলোয়াড়ের একজন মেসি। অন্যরা হলেন মেক্সিকোর আন্তোনিও কারবাহাল, আন্দ্রেস গুয়াদ্রাদো ও রাফা মার্কুয়েজ, জার্মানির লোথার ম্যাথাউস ও পর্তুগালের ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।

বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ডও মেসির। সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে মাঠে জার্মান কিংবদন্তি ম্যাথাউসের ২৫ ম্যাচ খেলার রেকর্ডে ভাগ বসান। অধিনায়ক হিসেবেও ১৯ ম্যাচ খেললেন। এর আগে ১৭ ম্যাচ খেলেন মার্কুয়েজ। আর ১৬ ম্যাচ ছিল ডিয়েগো ম্যারাডোনার।


সর্বশেষ সংবাদ