৯ দিন যাবত স্কুলছাত্রীকে আটকে ধর্ষণ, এসএমএস পেয়ে উদ্ধার

সংবাদ সম্মেলনে কিশোরীকে উদ্ধারের ব্যাপারে জানাচ্ছে পুলিশ
সংবাদ সম্মেলনে কিশোরীকে উদ্ধারের ব্যাপারে জানাচ্ছে পুলিশ  © সংগৃহীত

নওগাঁয় এসএসসি পরীক্ষার্থী এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে নয় দিন ধরে বাসায় আটকে রেখে ধর্ষণ করেছে এক যুবক। পরে অপহরণকারী যুবকের মোবাইল থেকে কৌশলে ওই মেয়ের পাঠানো এসএমএস পেয়ে তাকে উদ্ধার করে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক পালিয়ে গেলেও আটক করা হয়েছে তার বাবা-মাকে।

অপহরণকারী যুবক মাহমুদুল হাসান রকি জেলার মহাদেবপুর উপজেলার কদমতলী এলাকার মোজাম্মেল হকের ছেলে।

বুধবার (১৩ অক্টোবর) সকালে জেলা ডিবি পুলিশের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজীউর রহমান এসব তথ্য জানান।

উদ্ধার হওয়া কিশোরীর বরাত দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা গাজীউর রহমান জানান, ওই ছাত্রীর এক বান্ধবীর মাধ্যমে অভিযুক্ত মাহমুদুল হাসান রকির সঙ্গে পরিচয় ও তারপর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে মেয়েটির। সম্পর্কের এক পর্যায়ে রকি বিভিন্ন ছেলেকে ডেকে এনে টাকার জন্য জিম্মি করতে বলে। কিন্তু ওই মেয়ে রাজি না হওয়ায় তাদের সম্পর্কের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়।

এরপর গত ৩ অক্টোবর বিকেলে মেস থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে মহাদেবপুর উপজেলার কদমতলী এলাকা থেকে ওই কিশোরীকে অপহরণ করে নিজ বাড়ি নিয়ে যায় রকি। এরপর তাকে ৯ দিন ধরে সেখানে আটকে রেখে মেরে ফেলাসহ বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ এবং শারীরিক নির্যাতন চালান।

পুলিশ জানায়, এক পর্যায়ে মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) রাতে ওই কিশোরী অপহরণকারী রকির মোবাইল থেকে জেলার পুলিশ সুপারকে মেসেজ করলে পুলিশ বিষয়টি জানতে পারে। এরপর পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান মিয়ার নির্দেশনায় রাতেই ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ।

এ সময় অপহরণকারী মাহমুদুল হাসান রকি পালিয়ে যান। তবে তার বাবা মোজাম্মেল হক এবং মা তাছলিমা বেগমকে আটক করে পুলিশ।

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজীউর রহমান জানান, অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনায় মহাদেবপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা হয়েছে। পুলিশ অপহারণকারী রকিকে আটকের চেষ্টা করছে।


সর্বশেষ সংবাদ